July 15, 2025, 3:47 am
নাজিম উদ্দিন রানা:
বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত সজীবের হত্যার বিচার দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। বুধবার (১৯ জুলাই) জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিচার দাবি করেন।
এসময় নয়ন বলেন, একজন পথচারী ব্যাক্তিগত শত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। কর্মসূচি চলাকালিন সময়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় নিহত হওয়ার পরে গভীর রাতে বিএনপি তাকে নিজেদের দলীয় কর্মী দাবি করে ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে দায়ী করার অসৎ উদ্দেশ্যে বিএনপি হত্যার ষড়যন্ত্রে মেতেছে।
তিনি বলেন, এমন হত্যার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মলনে তিনি বলেন, বিএনপি এ জেলাকে অশান্ত করার জন্য নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেখা গেছে বিএনপি নেতারা তাদের সভা সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অশালীন ভাষায় ব্যবহার করে বক্তব্য দেয়।এমন আপত্তিকর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের সহিংস হতে উস্কানি দিচ্ছে। বিএনপির ছত্রছায়ায় ইতিপূর্বে (বিএনপির ক্ষমতাকালিন) লক্ষ্মীপুর সন্ত্রাসীদের জনপদ হয়ে ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসনের সহযোগীতায় এ জনপদকে সন্ত্রাসমুক্ত করা হয়েছে। এজন্য লক্ষ্মীপুরবাসী এখন আওয়ামী লীগের উপর অনেক আস্থাশীল।তারা তাই উঠে পড়ে লেগেছে লক্ষ্মীপুরকে ফের অশান্ত করে লুটপাট, হত্যাযজ্ঞ সহ বিভিন্ন নির্বিচার চালিয়ে যেতে।
এ সময় অ্যাডভোকেট নয়ন বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দয়া করে লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাস কিংবা অশান্ত জনপদ বানানোর ষড়যন্ত্র থেকে বিরত হোন। শুধুমাত্র রাজনীতির অসৎ চিন্তায় এ জনপদের সাধারণ মানুষের জানমাল নিয়ে খেলা খেলবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, দুই দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছিল। আওয়ামী লীগ উত্তর তেমুহনী এলাকায় শান্তি সমাবেশ করছিল এবং বিএনপি দক্ষিণ তেমুহনী থেকে ঝুমুর এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি করছিল। এ অবস্থায় ওই সময়ে কলেজ রোডে আমাদের কিংবা তাদের দলীয় কর্মসূচিতে আসা কারও অবস্থান করার কথা নয়। তাহলে রাজনৈতিক সহিংসতায় সেখানে হত্যাকাণ্ড ঘটার কোন সুযোগও থাকে না। এদিন ব্যাক্তিগত কারণে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।