July 8, 2025, 3:04 pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী।। রাজশাহীর গোদাগাড়ী এপি ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় গোদাগাড়ী এপির ওয়ার্ল্ড ভিশনের ম্যানেজার প্রেরণা চিসিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মাহন্ত।
উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী প্রেস ক্লাবের সভপতি এবি কামারুজ্জামান বকুল, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলার সহঃ সাধারন সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিষ্ট মোঃ হায়দার আলী, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ জামিল আহম্মেদ, পৌর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ গোদাগাড়ী এপি প্রোগ্রাম অফিসার এন্ড্রিকাশ মুরমু, শ্যামল এইচ বাস্তা, শ্যামল কাস্তা, মিল্টন রোজারিও, ডেবিড সাংমাসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকার সাংবাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের ম্যানেজার প্রেরণা চিসিম বলেন, আমাদের কার্যক্রম ২০০৭ ইং সালে শুরু হয়। আগামী বছর ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। শিশু সুরক্ষা, শিশুর উন্নয়ন, শিশুর বিকাশ, শিশু নির্যাতনের বিষয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এখানে ৬৬ টি শিশু ফোরাম আছে ৯০০ জন শিশু নিয়ে কাজ করা হয়ে থাকে। এসব শিশুদের অনেক সফলতার গল্প রয়েছে। বাল্যবিয়ে থেকে তারা দূরে থাকছে। গ্রামে গ্রমে সচেতেনতা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে, বাল্যবিয়ে, শিশু নির্যাতন আগামীতে শূন্যতে নেমে আসে সেদিকে নজর দিতে হবে। ৮২০ শিশু নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, প্রতিদিন তাদের ওজন নেয়া হচ্ছে, দৌহিক গঠন সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত করা হচ্ছে। ১২ বছর থেকে ১৮ বছরের ৮০০ জন শিশুদের নিয়ে নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করচ্ছি।
বক্তরা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি হতদরিদ্র আদিবাসীদের বকনা গরু, ছাগল, হাঁস, বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত টয়লেট, পরিবেশ বান্ধব চূলা ব্যবহার, স্যানিটেশন , সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সাফিন নামে একটি শিশু বাকপ্রতিবন্ধি ছিল, সে স্কুলে গিয়ে অন্যান্য শিশুদের কথা বলে নিজে এখন কথা বলতে পারছে। স্কুলে শিশুটি এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করতে পারছেন। সে যদি স্কুলে যাওয়ার পরিবেশ না পেত এ সাফল্য পাওয়া যেত না।
২০২৪ ইং সালে সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। সে কাজগুলি আমরা আগামীতে চলমান রাখা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বক্তরা বলেন, অভিভাবকগন শিশুদের হাতে স্মার্ট মোবাইল ফোন কিনে দিচ্ছেন, এর অপব্যবহারের কারনে তারা ছেলে বন্ধু ম্যানেজ করে সম্পর্কে জড়িয়ে, বাল্যবিয়ে করাতে বাধ্য করেন পিতামাতকে। না দিলে বাড়ী থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। অভিভাবকদের বেশী সচেতন হতে হবে। শিশু শ্রম আমাদের দেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অভিভাবকদের সচেতন করলে শিশু শ্রম কমবে। ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিবছর ৮২০ জন শিশুকে সুন্দরভাবে সুরক্ষা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মাহন্ত বলেন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কার্যক্রম সত্যিই চমৎকার। গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করছে। শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছেন, সাংবাদিকদের সাথে আপনারা লিঙ্ক থাকলে তার পত্রিকায় প্রকাশ করলে, আরও ভাল হবে। মানুষ বুঝতে পারবে।
মোঃ হায়দার আলী
গোদাগাড়ী, রাজশাহী।