July 11, 2025, 5:16 am
(রিপন ওঝা,মহালছড়ি)
মহালছড়ি উপজেলার ১নং সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ধুমনিঘাট এলাকা। যা সমুদ্র পৃষ্ট থেকে ১২০০ফুট উচু এলাকা ধুমনিঘাট,তার পাদদেশে তীর্থস্থান। এখানে ধুমনিঘাট শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থ স্থানে শ্রী শ্রী ধুমনেশ্বর মহাদেবের শিবলিঙ্গ স্থাপিত রয়েছে।
তাই ধুমনিঘাট শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থক্ষেত্র শ্রী শ্রী ধুমনেশ্বর মহাদেবের শিবলিঙ্গ পরিচালনা পর্ষদ ও এলাকাবাসী কর্তৃক উক্ত স্থানে নেশাজাতীয় দ্রব্যসহ আমিষ জাতীয় খাদ্য সামগ্রী রান্না(গরু, মুরগি, হাঁস,ছাগল,শূকর প্রভৃতির মাংস) ও রান্নাকৃত খাদ্য তীর্থ স্থানে এনে না খাওয়ার ও উশৃংখলতা এড়িয়ে চলার যথাযথ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে ও ভ্রমনে আসা সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
১৯৯৮ সালে ধুমনিঘাট শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির নির্মিত হয়েছে। মন্দির নির্মিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ বারংবার যোগাযোগ করা হলেও আজ পর্যন্ত সরকারি ভবন ও নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করা কোন প্রকার সহযোগিতা পায় নি,শুধুই পেয়েছে মুখনিঃসৃত আশ্বাস। এমন আশ্বাসে কতদিন কত বছর অবহেলিত থাকবে। এই ধুমনিঘাট এলাকার পাশ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একান্ত প্রচেষ্টায় সড়ক নির্মিত হলেও এখনো বিদ্যুৎ সেবা পৌছেনি, কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা পৌছে নি। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মহালছড়ি জোন কর্তৃক পানির ব্যবস্থা করেছেন এবং মাঝে মাঝে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা দিয়ে থাকে। তাই উক্ত এলাকার ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধুমনিঘাট শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির(মহালছড়ি সনাতনী সমাজ ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, মহালছড়ি শাখা কর্তৃক বর্তমানে টিন শেড নির্মাণে সহায়তা করেন) নির্মাণের পূর্বে শিলাময় শিবলিঙ্গ তীর্থস্থানের চতুর্দিকে প্রাচীর নির্মাণ করে পবিত্রতা রক্ষা করা সময়ের গৌণ দাবি বলে উপস্থাপন করেছেন।
এ বিষয়ে উক্ত এলাকার কার্বারী কর্মচান ত্রিপুরা বলেন, তীর্থস্থান ধুমনিঘাট সনাতনীদের জন্যে পবিত্র স্থান৷ এই মন্দির ও তীর্থস্থানের জায়গা আমার জন্মদাতা পিতা দান করে গেছেন। তাই পবিত্র স্থানের পবিত্রতা রক্ষার্থে স্থানীয় সকল জনগোষ্ঠীকে অনুরোধ করছি যে, তীর্থ স্থানে শ্রী শ্রী ধুমনেশ্বর মহাদেবের শিবলিঙ্গের তীর্থ স্থান ধুমনিঘাট এলাকার ১/২ কিলোমিটার জায়গার চারপাশে গৃহিত পদক্ষেপ বা উপরোক্ত সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে ও সচেনতার সহিত কার্য সম্পাদনে সহায়তা বাড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন এই মন্দির ও তীর্থ স্থানে শ্রী শ্রী ধুমনেশ্বর মহাদেবের শিবলিঙ্গের চতুর্দিকে প্রাচীর নির্মাণের দাবিতে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ধুমনিঘাট শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থক্ষেত্র পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক শ্রী তপনজয় ত্রিপুরা বলেন উক্ত কার্যক্রমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও এলাকার সচেতন নাগরিকদের গৃহিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সকলের সহায়তা কামনা ও মন্দিরসহ তীর্থ স্থানে শ্রী শ্রী ধুমনেশ্বর মহাদেবের শিবলিঙ্গের চতুর্দিকে প্রাচীর নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ধুমনিঘাট তীর্থের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও নৈসর্গিক সৌন্দর্য খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর স্থান। ধুমনিঘাট এলাকার মূল আকর্ষণীয় স্থানই হচ্ছে শিবলিঙ্গ কে ঘিরে তীর্থক্ষেত্র প্রতিবছর চৈত্র মাসের মহাবারুনী স্নান তিথি লগ্নে ০৩ দিন ব্যাপী তীর্থ মেলা বসে। তীর্থক্ষেত্র সম্পূর্ণ শিলাময়। এই শিলাময় তীর্থ স্থানে শিবলিঙ্গের নিকট পাথরের মাঝে বয়ে যাওয়া ঝর্ণাধারা। পার্বত্য এলাকার ভ্রমন পিপাসু প্রায় মানুষ স্নান করতে বা সনাতনীগণ তীর্থস্থানেই এই ঝর্ণাধারার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। অতীব দুঃখের বিষয় যে মাঝে ভ্রমণ করতে আসা মধ্যে সকল জনগোষ্ঠীর কিছু প্রায় প্রজন্মের কিশোর হতে বিভিন্ন বয়সের মানুষ জন ধুমনিঘাট তীর্থে মদ, গাজা নেশাজাতীয় ট্যাবলেটসহ জুয়া খেলা নিষিদ্ধ দ্রব্য নিষেধ করা হয়েছে।