October 4, 2023, 12:22 am
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়
নিরব ঘাতক জটিল রক্ত নালী ব্লক,কিডনীর জটিল সমস্যা ও ডান চোখের রেটিনার ৫টি ভ্যান ছিরা ব্যাধিতে আক্রান্ত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, পঞ্চগড়ের মফস্বল সাংবাদিক মোঃএনামুল হক দীর্ঘদিন থেকে নিরব ঘাতক হার্ডের জটিল রক্ত নালীতে তিনটি ব্লক,কিডনীর জটিল সমস্যা ও ডান চোখের রেটিনার ৫টি ভ্যান ছিড়ে দৃষ্টিহীনের দার প্রান্তে,মরন ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে দিন যাপন করছেন। তিনি শরীলে নানা রকম আরওজটিল রোগের সমস্যায় রয়েছেন। তাঁর দ্রুত একাধিক অপারেশন প্রয়োজন।
জানা গেছে তার চোখ অপারেশনের জন্য মাদ্রাজের অরবিন্দু চক্ষু হাসপাতাল ও রক্তনালীতে হার্ড ব্লকের জন্য নারায়না হ্নদয়ালয় হাসপাতালে তাঁকে ভারতে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসক চোখের ডাঃ নিয়াজ মোর্সেদ খান ও হার্ডের অধ্যাপক বদিউজ্জামান । এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যায়বহুল। সাংবাদিক মোঃ এনামুল হক জানায়, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট নিয়ে জরুরী বিভাগে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ রেফাট করেন দিনাজপুর আঃ রহিম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের icu বিভাগে ভর্তি হয় গত বছরের ১৯শে জুলাই/২২ সালে।সেখানে কার্ডিওলজিষ্ট সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শাহারিয়ার কবীর এর চিকিৎসায় নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হার্ডের ব্লক ও হার্ড ফেইলর ধরা পরে।হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার পর পঞ্চগড় প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক সহকর্মি ভাইয়েরা কিছু সহযোগিতা করেছিলো। চোখে রক্ত ক্ষরনের ফলে দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ি।
দিনাজপুর গাওসুল আযম চক্ষু হাসপাতালের ডাঃ শহিদুল ইসলাম খাঁন পরীক্ষা করে জানতে পারেন রেটিনার ৫ টি ভ্যান ছিড়ে গেছে ফলে দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েছেন । ঐ ডাক্তার রেফার্ট করেন রেটিনা স্পেশালিষ্ট ও সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোর্সেদ খানের কাছে। উক্ত ডাক্তার এযাবত পযর্ন্ত ১০ বার রেটিনায় সার্জারি করেছেন। এতে প্রতিটি সার্জারিতে ঔষধ সহ খরচ হয় বিশ হাজার টাকা করে।অপর দিকে গত বছরের ডিসেম্বর/২২ সালের ১৮ তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেসকাত আহাম্মদ চৌধুরী ও সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মাহাবুবুল আলম ভুইয়ার তত্ত্বাবধানে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর রক্তনালী ব্লকটি জটিল অবস্হানে থাকায় অপারেশন কিংবা রিং পড়ানোর ঝুকি থাকায় রোগটি চিহ্নিত করে ঔষধ পত্র দিয়ে ১২ দিন থাকার পর রিলিজ দিয়ে দেন। পড়ে অধ্যাপক কার্ডিওলজিষ্ট ডাক্তার বদিউজ্জামান তাঁকে ভারতের চেন্নাইয়ে নারায়না হ্নদয়ালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। কিন্তু তার সেই সামর্থ্য নেই। শহরে বাবার তৈরী একটি বাড়ি ও নিজের একটি মোটরবাইক ছাড়া স্থাবর-অস্থাবর কোন সম্পত্তি নেই। বাড়িতে রয়েছে বৃদ্ধ অসুস্হ বাবা _ ছোট ভাই তার পরিবার ও তার দুই ছেলে। বড় ছেলে অনার্চ পাশ করে ঢাকায় পড়ছেন ও ছোট খাটো কাজ করছেন, ছোট ছেলে সৈয়দ পুর সরকারী কলেজে Hsc ফাষ্ট ইয়ারে পড়াশুনা করছেন।বাবা সামান্য কিছুঅবসরভাতা পান তাহা দিয়ে কোন মতে যৌথ পরিবার চলে আসছেন। আরতিনি পত্রিকার সম্মানী দিয়ে ঔষধ খাবে না সংসারে যোগান দিতেই হিশশিম খাচ্ছেন।
সাংবাদিক এনামুল হক দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত। তিনি ১৯৯৯ সালে সাপ্তাহিক খোজ খবর পত্রিকা দিয়ে তার পথ চলা শুরু। দৈনিক আজকের প্রত্যাশা,দৈনিক গনজাগরন,দৈনিক সচেতন,খবরের অন্তরালে,একুশের কন্ঠ,বর্তমানে দেরযুগ ধরে দৈনিক জনতা, The Bangladesh Today পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অবশেষে জেলা পরিষদ, শুভানুধ্যায়ী সংবাদকর্মি কয়েকজন শুভানুধ্যায়ী বন্ধু ও ছোটভাইসহ আত্বীয়স্বজনরা সহযোগিতা করেছেন। তাদের সহযোগিতায় গত ৮ই মার্চ/২৩ সালে ভারতের কলকাতার NH রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল কার্ডিলজিক্যাল সায়েন্স ইনষ্টিটিউট ভর্তি হই।সেখানে নানা রকম পরীক্ষা করে কিডনির সমস্যা ও রক্তের সমস্যা ধরা পড়ার কারনে কোন অপারেশন ও অর্থ কম থাকার কারনে ১০দিন ভর্তি থেকে চলে আসেন। সেখানকার ডাঃ অভিজিৎ চ্যাটাজি চার মাসের সাময়িক ঔষধ দিয়ে পিপারেশন নিয়ে আসতে বলেন।কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর ওষুধ কিনতেই সব শেষ। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি পাঁচশত টাকার ওষুধ খেতে হচ্ছে। যা তার পক্ষে অসাধ্য হয়ে উঠছে। তাই চিকিৎসার জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন।
একজন নিবেদিত প্রাণ গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে নীতি নৈতিকতা মেনে সাংবাদিকতা করেছেন মোঃএনামুল হক সত্যের জন্য তিনি জীবন ভর লড়াই করেছেন। হার মানেন নি তিনি। তাহলে আজ জীবন যুদ্ধে তিনি হেরে যেতে বসেছেন। চোখ থাকতেও অর্থের অভাবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি মুহূর্ত মৃত্যু তাকে হাতছানি দিয়ে সময়ের অপেক্ষা করছেন। জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অর্থ পাঠানোর ঠিকানা
রকেট, বিকাশ, নগদ
01743901594