September 27, 2023, 9:14 am
বেতাগী (বরগুনাঁ) প্রতিনিধি
।আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরগুনার বেতাগী উপজেলার খামার মালিক ও গৃহস্তরা। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজার ধরতে প্রস্তুত ৭ হাজার ২৮৬টি গবাদিপশু। এবার ঈদে পশুর ভালো দামের আশা করছেন খামার মালিক ও গৃহস্থরা। উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস বলছে, খামারগুলোতে যাতে নিরাপদ পদ্ধতিতে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয় সেদিকে সর্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে এখনো অনলাইনে হাঁট খোলা এবং পশুর বাজার মনিটরিংয়ের কোন নিদের্শনা তাঁদের হাতে পৌছেনি।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানাযায়, আসন্ন ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে এ উপজেলায় কোরবানিযোগ্য ৭ হাজার ২৮৬ টি পশু রয়েছে। এই পশুগুলোর মধ্যে ষাঁড় ৪ হাজার ২৬৫, বলদ ৯১৬, গাভী ৭১৩, মহিষ ১০টি, ছাগল ১ হাজার ৩৬৮ এবং ভেড়া ১৪ টি। এবারে কোরবানিতে এ উপজেলায় পশুর মোট চাহিদা হচেছ ৭ হাজার ৮৫টি। চাহিদার তুলনায় যা উদ্বৃত রয়েছে ২০১ টি পশু।এ উপজেলায় স্থায়ী হাঁটের সংখ্যা প্রধানত ৫টি। এর মধ্যে বেতাগী পৌরসভায় কচুয়া-বেতাগী ফেরী ঘাট সংলগ্ন পশুর হাঁট, বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের কাজির হাঁট, কাজিরাবাদের চান্দখালী, কুমড়াখালী হাঁট ও সড়িষামুড়ির মায়ার হাঁট। এ ছাড়াও মোকামিয়া, ঝোপখালী সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে কোরবানি হাঁট বসে। এসব হাঁটের প্রায় সবগুলোয় হাঁটে কোরবানিযোগ্য পশুগুলো বিক্রির জন্য তোলা হবে। ইতোমধ্যে স্থায়ীকিছু হাটে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। গত বছর উপজেলায় মোট প্রায় ৭ হাজার গবদিপশু কোরবানি করা হয়েছে।ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হাটে কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রিয় করার জন্য তোলা হচ্ছে। কাঙ্খিত দামে মিলে গেলে বিক্রিও করছে অনেকে। এছাড়াও হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যাপারিরাও কোরবানিযোগ্য পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার বাহির থেকে বিভিন্ন ব্যাপারিরা কোরবানিযোগ্য পশু কিনে আনছেন। এদিকে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিরক রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার রোধে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে নানা উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। খামারি ও পশু পালনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক বার্তা। সব মিলিয়ে এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশুর কোন সষ্কট পড়বেনা। দেশীয় পশুতেই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারবেন এমনটি আশাবাদি উপজেলাবাসীর।এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: মো: আশরাফ হোসেন জানান, এ উপজেলায় গত বছরের চেয়ে চলতি বছর অনেক বেশি পশুর যোগান রয়েছে। যা চাহিদা তুলনায় বেশি। গবাদিপশুকে কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার না করে সেজন্য আমরা খামারি এবং ব্যাক্তি পর্যায়ে প্রচাারণা চালিয়েছি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদুল আযাহার হাট পুরোদমে শুরু হলে প্রতি হাটে মেডিক্যাল টিম বসানো হবে।