July 15, 2025, 4:15 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
চু-রি করে নিয়ে যাবার কালে ডিম সহ চো-র আ-টক বরিশালে পৃথক অভি-যানে ২৬৫০ পিস ইয়া-বা ও জা-লনোটসহ গ্রে-প্তার ৪ মাদ-ক ব্যবসায়ী ঢাকা ও আশুলিয়ায় মা-মলা বাণি-জ্যসহ বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবা-জি অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ও ভে-জাল খাদ্যপণ্য তৈরি-স্বাস্থ্যঝুঁ-কিতে শিশুসহ সাধারণ মানুষ বৃক্ষরোপণ শুধু পরিবেশ সুরক্ষার জন্যই নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও মূল্যবান সম্পদ- ডিসি মুফিদুল আলম বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেছারাবাদ কমিটিতে আও-য়ামী দোস-রদের স্থান দেয়ায় বিএনপির ক্ষো-ভ একটানা বৃষ্টিতে পাইকগাছা পৌরসদর পানিতে নিম-জ্জিত সাড়ে ৫শ’ বছর পূর্বে পাইকগাছার কপিলমুনিতে আসেন পীর হযরত জাফর আউলিয়া (রহঃ) পীরগঞ্জে হুসেইন মুহাম্মদ এরশদারে মৃ-ত্যু বার্ষিকী পালিত পাইকগাছায় দিনভর টানা ভারীবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে হাজারো মৎস্য ঘের, পুকুর ও ফসলি জমি
বারি আম-১৪ রাজশাহী ফল গবেষণার সাফল্য

বারি আম-১৪ রাজশাহী ফল গবেষণার সাফল্য

মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকে।। দেশে এখন মধুমাস চলছে, বাহারি ফলের সমাহার। আম, জাম, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ এমন কোন ফল নেই যে এমধু মাসে পাওয়া যায় না। আমের রাজা ল্যাংড়া পাঁকতে শুরু করেছে। দেশের ফলের তালিকায় নতুন দুটি জাত যুক্ত করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) এর রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র।

যার একটি রঙিন আমের জাত ‘বারি আম-১৪’, যার বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica। এটির উৎস সৌদি আরব। প্রয়োজনীয় গবেষণা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই জাতটি বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে। অন্যটি হলো স্থানীয় ফলসা ফলের জাত ‘বারি ফলসা-১’। যা Grewia asiatica নামে পরিচিত, ফলসা জাম পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অপ্রচলিত এই ফল দেশজুড়ে ছোট গাছে জন্মালেও এবারই প্রথম এটি দেশের একটি ফল হিসাবে স্বীকৃতি পেলো।

জাতীয় বীজ বোর্ড ৩১ ডিসেম্বর এ দুটি ফলের জাতের নিবন্ধনের সনদ দিয়েছে। সনদ দুটি চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে রাজশাহীতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন।

এই দুটি জাতের মাধ্যমে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে দেশের ফল ভান্ডারে মোট নয়টি জাতের ফলের সংযোজন হলো।

ড. আলিম বলেন, দেশে এখন মোট ৩৬ প্রকারের ফলের ৯২টি জাত নিবন্ধিত আছে। ‘আমরা গর্বিত এবং আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি যে এই ফলগুলি স্বাদ, পুষ্টির মান এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনার জন্য কৃষক এবং সবার কাছে জনপ্রিয় হবে,’ বলেন তিনি।

২০১০ সালে, বারির বিজ্ঞানী গোলাম মর্তুজা সৌদি আরব থেকে একটি আমের গাছের ডাল সংগ্রহ করে রাজশাহীর গবেষণা কেন্দ্রে দেন।
কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ডালের কলম করে দশটি চারা গাছ তৈরি করেন। চারা গাছগুলোর মধ্যে একটি মাত্র গাছ বাঁচানো যায়।

ড. আলিম বলেন, সেই একটি গাছ থেকে কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা গত দশ বছরে মোট পাঁচটি মাতৃ গাছ তৈরি করেছেন। এগুলোই বারি আম-১৪। এই গাছগুলো প্রতি বছর জুলাইয়ের শেষে ফল দেয়। ফলগুলি পাকার সময় আকর্ষণীয় লাল খয়েরি রঙ হয়। আয়তাকার এই আমের প্রতিটির ওজন প্রায় ৫৬৯ গ্রাম। এর ৭৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ খাওয়া যায় এবং এতে ২২ দশমিক ৮৩ শতাংশ মিষ্টতা আছে।

এর ফলন হেক্টর প্রতি ১৪ টন হবার সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে ফলসা গাছ নিয়মিত মে এবং জুন মাসে ফল দেয়। এই ছোট গোলাকার ফলগুলি প্রায় শুন্য দশমিক ৬৬ গ্রাম ওজনের হয় এবং পাকলে বেগুনি হয়। এর মিষ্টতার পরিমাণ ২৪ শতাংশ। প্রতিটি গাছে বছরে ২০ কেজি ফল ধরে। ড. আলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখন ফলের জাতগুলোর সম্প্রসারণের কাজ করবো।’

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD