October 3, 2023, 11:18 pm
মো. সেলিম মিয়া ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি :
হুমগুটি খেলাকে কেন্দ্র করে আলমাছ উদ্দিন নামের এক মেম্বারকে মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৪ জুন) রাত ১০ টার দিকে কুশমাইল ছলির বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আলমাছ উদ্দিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৩নং কুশমাইল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) ও ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
আলমাছ উদ্দিনের ভাগিনা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার (৩ জুন) ফুলবাড়িয়া পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডে হুমগুটি খেলার আয়োজন করে কতৃর্পক্ষ। আমরা উত্তরাঞ্চলের কুশমাইলের বরুকা, গড়পাড়া, চকরাধাকানাই ও বালিয়ানের কিছু অংশ মিলে গুটি নেওয়ার চিন্তা করি। ধারাবাহিকতায় রবিবার ভোররাত পর্যন্ত খেলা চলে এবং গড়পাড়া বেপারীপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে গুটি গুম করতে সক্ষম হই। এরপর সকাল ৭টার দিকে আমরা আনন্দ মিছিল করি।
সকাল ৯টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাতিন পুলু’র নেতৃত্বে একটি গ্রুপ বেপারীপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে যায়। সেখানে স্থানীয় আলমাছ মেম্বারসহ অন্যদের সাথে কথা বলেন। তারা গুটিটি ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করলে আমরা তাতে রাজি হইনি। শেষ পর্যন্ত চেয়ারম্যান সাহেব বললেন এনিয়ে কথা হবে রাত ৯টায় (৪জুন) কুশমাইল ইউ: বদর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। যথারীতি আলোচনায় বসা হলে অমিমাংসিত অবস্থায় চেয়ারম্যান সাহেব দরবার থেকে উঠে চলে যান। স্কুল গেইটে আলমাছ মেম্বারকে একা পেয়ে সেখানে অতর্কিতভাবে চেয়ারম্যান পক্ষের লোক রফিকুল গংরা হামলা চালায়। এতে আলমাছ মেম্বার মারাত্মভাবে আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে আলমাছ মেম্বার ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগি সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এমন খুবই ন্যাক্কারজনক। অন্য ঘটনার জেরে ঐতিহ্যবাহী খেলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতিন পুলু বলেন, একটা আলোচনা বসছিলাম কিন্তু সমাধান হয়নি। আমি চলে আসার পর কে বা কারা মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে আমি জানি না। যারা আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন তাদের বিচার যেন উপরওয়ালা (আল্লাহ) করেন।