November 4, 2024, 7:48 am
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট
পৌরসভার ঐতিহ্যবাহী কেশরহাট বাজার বনিক সমিতির নির্বাচনে প্রার্থীরা শুরু করেছে জম্পেশ প্রচারণা। তবে নির্বাচনের মাঠে সভাপতি পদ ঘিরেই মুল আলোচনা আবর্তিত হচ্ছে। কে হচ্ছেন সভাপতি সকলের দৃষ্টি সেই দিকে। সভাপতি পদে কাউন্সিলর সাবের আলীর চরম ইমেজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে, ব্যবসায়ী মহলে তাকে নিয়ে বইছে নেতিবাচক সমালোচনার ঝড়। বিপরীতে তরুণ মুখ বাবুল হোসেন রয়েছেন ব্যবসায়ীদের কাছে পচ্ছন্দের শীর্ষে।
জানা গেছে, আগামি ৮ জুন বৃহস্প্রতিবার
কেশরহাট বাজার বনিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার নির্বাচনে মোট ১১টি পদের বিপরীতে ভোট প্রয়োগ করবেন এক হাজার ৪৫ জন ভোটার। গত ২৪মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর বাজারের অলিগলি প্রার্থীদের প্রতিকযুক্ত পোস্টারে ছেয়ে গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে রয়েছেন
কেশরহাট পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রুস্তম আলী প্রামানিক। সভাপতি পদে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদন্দীতা করছেন। এরা হলেন কাউন্সিলর সাবের আলী প্রতিক(ছাতা), সাদ আক্কাস হোসেন (চেয়ার) ও বাবুল হোসেন (দেয়াল ঘড়ি)। স্থানীয়দের ভাষ্য,নির্বাচনে সভাপতি পদে সাবের আলীর(ছাতা) সঙ্গে বাবুল হোসেনের (দেয়াল ঘড়ি) হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবার সম্ভবনা রয়েছে, তবে বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন তরুণ মুখ বাবুল হোসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, কাউন্সিলর সাবের আলীর বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি জবরদখল, ফসলী জমি ধ্বংস করে অবৈধ পুকুর খনন, কর্মচারীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিবাহ ও ডাকাতির অভিযোগ ইত্যাদি নানা কারণে তার চরম ইমেজ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছে, সাবের আলীর মতো বির্তকিত ব্যক্তি সভাপতি হলে ঐতিহ্যবাহী কেশরহাটের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। কারণ যে ব্যক্তি সরকারি সম্পত্তির লোভ সামলাতে পারে না, সেই ব্যক্তি কি সাধারণ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট হবেন।
এদিকে ৩ জুন শনিবার সভাপতি প্রার্থী তরুণ মুখ বাবুল হোসেন দিনভর
কেশরহাট বাজারে ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তিনি প্রতিটি দোকানে দোকানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ ও (দেয়াল ঘড়ি) প্রতিকের জন্য ভোট প্রার্থনা এবং দোয়া চেয়েছেন। এবিষয়ে বাবুল হোসেন বলেন,
বণিক সমিতির ভোটে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে বাজারের ব্যবসায়িদের সঙ্গে নিয়ে তিনি সব সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন। তিনি আরো বলেন, কেশরহাট এই অঞ্চলের একটি বৃহত্তম হাট। এই হাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তিনি কাজ করবেন। তিনি বলেন, এই বাজার থেকে বিলুপ্ত হওয়া প্রসিদ্ধ পান এবং গরুর হাট পুনরাই চালুর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও ব্যবসায়িদের সুবিধার্থে সকল পট্টি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, তার বিশ্বাস ব্যবসায়ীরা কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে তাদের নেতা বানাবে না।#
তানোর প্রতিনিধি।