July 12, 2025, 6:45 am
রফিকুল ইসলাম ঃ
দিয়ারা জরিপে অন্যের জমি রেকর্ড করে, সেই জমি দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে রাঙ্গাবালীর ভুমি খেকোরা। উপজেলার ছয় ইউনিয়নেই চলছে এ অবস্থা। জমি নিয়ে ঝগরাঝাটি মারামারি কারাকারি এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার। মামলার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সহিংসতার সম্ভাবনা এরিয়ে যাওয়া যায়না। জরিপ কর্মকর্তারা এমন অবস্থার সুচনা করে গেছেন। একজনের ভিটেবাড়ি এমনকি বাপ দাদার কবরস্থান পর্যন্ত অন্যজনকে দিয়ে গেছেন। এমন এক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের কাজির হাওলা গ্রামে।
দক্ষিণ কাজির হাওলা গ্রামের রেকর্ডীয় মালিক আজগর হাওলাদার, জালাল হাওলাদার, লালু হাওলাদার, মানিক হাওলাদার জানান, দিয়ারা জরিপ চলাকালীন সময় তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত ছিলেন। এমতাবস্থায় তাদের ১-১৪ একর জমি খাস খতিয়ানে রেখে দেয় জরিপ কর্মকর্তারা। যার এস এ খতিয়ান নং ৮০। ওখানে তাদের বাপ দাদার কবরস্থানও রয়েছে, রয়েছে মোসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান একটি জামে মসজিদ । সুযোগ পেয়ে পার্শ্ববর্তী মহিউদ্দীন হাওলাদার, মোহসিন হাওলাদার গংরা ওই জমি অবৈধ বন্দোবস্ত নিয়ে দিয়ারা জরিপ করিয়ে নেয়। রেকর্ড নিয়ে এখন তারা জমি দখলের চেষ্টা করছেন। এমনকি এস এ খতিয়ানের মালিকদের জমিতে ঢুকতেও নিষেধ করা হচ্ছে।
উপায়ন্তর না পেয়ে মালিকরা পটুয়াখালী আদালতে রেকর্ড সংশোধনী ও গলাচিপা নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/৪৫ ধারায় মামলা করেন। মামলা চলমান। এতেও থামছেনা মহিউদ্দিন হাওলাদার গংরা। জমি দখলের চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে, সামনের দিকে শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা থেকে যায়। স্থানীয়ভাবে এ সমস্যার সমাধান করার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন মালিকরা।