September 23, 2023, 5:50 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পাইকগাছায় এক সাথে জন্ম নেওয়া জমজ তিন শিশু কন্যার এক জনের মৃত্যু; অর্থ সংকটে চিকিৎসা ব্যহত তেঁতুলিয়ায় মনিকো গুচ্ছগ্রামে গড়ে উঠেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪’র সাংবাদিক সাদ্দামের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ নড়াইলে বিদুত্যের খুটি অপসারন না করায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ‘চাঁচুড়ী সেতু’ তানোর যুবলীগে ফের প্রাণচাঞ্চল্য রাজশাহী জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে তৃণমূলের আস্থায় জাহাঙ্গীর পানছড়িতে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন বানারীপাড়ায় চুরি ও মাদক বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির কর্মীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাগেরহাটের রামপালে তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও বোরো’র ফলনে কৃষকের হাসি

বাগেরহাটের রামপালে তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও বোরো’র ফলনে কৃষকের হাসি

এ এইচ নান্টু, বিশেষ প্রতিনিধি || উপকূলীয় উপজেলার রামপালে তীব্র লবনাক্ততার মধ্যেও বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি ও ভালো ফলন ঘরে তুলছে কৃষকরা। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে এ এলাকার কৃষিতে পরিবর্তন আনায় বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কৃষকতার আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করেছে। রামপাল কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বোরো’র আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। সেটি বেড়ে ৪ হাজার ৭০১ হেক্টরে দাড়িয়েছে। তীব্র দাবদাহ, লবনাক্ততার প্রভাব ও মিষ্টি পানির অভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে। কৃষকদের লবন সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের বীজ ধান, সার ও কৃষি উপকরণ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করায় কৃষি খাত বেশ ঘুরে দাড়িয়েছে। এ বছর উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে ৫৩৫ হেক্টর, উজলকুড় ইউনিয়নে ২ হাজার ৪১২ হেক্টর, বাইনতলা ইউনিয়নে ১ হাজার ৬ হেক্টর, রামপাল সদর ইউনিয়নে ৪৮২ হেক্টর, রাজনগর ইউনিয়নে ১০৮ হেক্টর, হুড়কা ইউনিয়নে ২৮ হেক্টর, পেড়িখালী ইউনিয়নে ৪২ হেক্টর, ভোজপাতিয়া ইউনিয়নে ৯ হেক্টর, মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে ৬৭ হেক্টর ও বাঁশতলী ইউনিয়নে ১২ হেক্টর জমিসহ মোট ৭ হাজার ৭০১ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছিল। এতে প্রায় ২০ হাজার ৬৬১ মে. টান চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত বছর আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর, আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমি। চাল উৎপাদন হয়েছিল ১৮ হাজার ৪৩২ টান। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমি। আর চাল উৎপাদন হয়েছিল ১৯ হাজার ৭২২ মে. টান। উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের কৃষক মোন্তাজ মোল্লা, সিংগড়বুনিয়া গ্রামের কৃষক বাকিবিল্লাহ ও হুড়কা ইউনিয়নের পার্থর সাথে কথা হলে তার জানান, কৃষি অফিসের ম্যাডাম কৃষ্ণা রাণী মন্ডল আমাদের সময়মত বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ সরবরাহ করার জন্য আমরা এবার ভালো ফসল পেয়েছি। আশা করি আগামীতেও কৃষি অফিস থেকে আমাদের মতো গরীব কৃষকদের এভাবে সার, বীজ দিলে আমরা কৃষিতে আরো ভালো ফসল ফলাতে পারবো।
রামপাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মন্ডল জানান, প্রতিনিয়ত জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। মাটির লবনাক্ততার পাশাপাশি বাতাসেও লবণের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ দিয়েছি। আমাদের কৃষকরা যাতে কৃষিতে আগের মত ফিরে দাড়াতে পারে, এ জন্য আমরা বাগেরহাট জেলার উপপরিচালক স্যার, মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বিকভাবে সহায়তা প্রদান করছেন। আশা করি কৃষিতে রামপালে আবারও বিপ্লব ঘটবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD