April 25, 2024, 11:40 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার বিতরণ স্বরূপকাঠিতে ধর্ষনের অভিযোগে চেয়ারম্যানের ভাগনে গ্রেফতার গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় প্রভাবশালী দলের দুই যুবক গ্রেপ্তার মরনবাধ ও ভারতের বৈরী আচরণের প্রভাবে মহানন্দা নদীর বেহাল দশা বাবুগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম খালেদ হোসেন স্বপন এর সমার্থনে সভা নলছিটিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ ময়মনসিংহ সদরের কুষ্টিয়া ইউনিয়নে শত্রুতা করে ফসলের ক্ষতি করার অভিযোগ তীব্র তাপদাহে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ভালুকার ওসি কামাল সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে বিএনপি নেতা পৌর কাউন্সিলর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪ হাজার পিচ স্যালাইন বিতরণ
শতবর্ষী বৃদ্ধার ৭ সন্তান, দায়িত্ব নিতে চাননা কেউ

শতবর্ষী বৃদ্ধার ৭ সন্তান, দায়িত্ব নিতে চাননা কেউ

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
শতবর্ষী বৃদ্ধা জরিনা বেগম। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। সন্তানদের বোঝা এই বৃদ্ধার যেন মাথা গোজারও ঠায় নাই। ৩ মেয়ে এবং ৪ ছেলের কেউ দায়িত্ব নিতে চাননা তার।
জরিনা বেগমের বাড়ি পঞ্চগড় পৌর শহরের রৌশনাবাগ এলাকায়। তিনি সেখানকার মৃত বুধারু মোহাম্মদের স্ত্রী।
রৌশনাবাগে বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বাইরে বস্তা বিছানো মাটিতে বসে কান্না করছেন বৃদ্ধা। তাকে ঘিরে রেখেছেন প্রতিবেশিরা। খবর পেয়ে সেখানে আসেন পৌর কাউন্সিলর আরিফ হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধা জরিনা বেগমের স্বামী বুধারু মোহাম্মদ গত হয়েছেন ৪০ বছর আগে। তখন থেকেই তিনি সন্তানদের কাছে বোঝা হয়ে পড়েন। শারীরিক সক্ষমতা থাকাকালীন নিজেই নিজের মত চলতেন। বয়স বেড়ে গেছে আশ্রয় হয় মেয়ে রমিছা বেগমের ঘরে। এতদিন তার সঙ্গেই ছিলেন। সম্প্রতি রমিছা বেগম তার স্বামী তবিবর রহমানের সঙ্গে ঝগড়া করে কোথাও চলে যান। পরে বৃদ্ধার দেখভাল করার কেউ না থাকায় রমিছা বেগমের স্বামী তবিবর রহমান বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের করে দেন।
প্রতিবেশি হাসিবুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধা জরিনা বেগমের সন্তানেরা কেউ তার দেখভাল করেনা। প্রতিবেশিরা খোঁজ খবর নিতে গেলেও সহ্য করেননা তারা। ভাই-বোনের পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তারা তাদের মাকে এভাবে অবহেলা করছে।
বৃদ্ধার ছেলে আব্দুল জলিল বলেন, টানাপোরনের সংসার আমার। অল্প একটু জায়গায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকি। আমার মায়ের জন্য একটা ঘরের ব্যবস্থা করা গেলে তার দেখভাল করতে আমার আপত্তি নেই।
পৌর কাউন্সিলর আরিফ হোসেন বলেন, এই বৃদ্ধা সন্তানদের বোঝা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কয়েকদিন আগেও এই বৃদ্ধাকে ঘর থেকে বের করে দেয় তার সন্তানেরা। আমি বৃদ্ধার ঘরের ব্যবস্থা করবো এই আশ্বাস দিয়ে কিছুদিনের জন্য তার ছেলেদের দেখভালের অনুরোধ করি। কিন্তু এক সপ্তাহ না পেরোতেই তারা তাদের বৃদ্ধা মাকে আবারও বের করে দেয়।
তিনি বলেন, আমি বৃদ্ধার সার্বিক খোঁজ খবর রাখছি। মেয়র মহোদয় এবং ইউএনও মহোদয়কেও বিষয়টি জানিয়েছি। বৃদ্ধার থাকার জন্য দ্রুত ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD