May 30, 2023, 8:13 pm
হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ায় পরপর দুইটি হত্যাকান্ডের পর আবারও আশুলিয়া ইউনিয়নের কান্দাইলে সন্ত্রাসী কায়দায় আকতার হোসেন নামের এক রোজাদার ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা, এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ভিকটিম।
গত ২২ মার্চ ২০২৩ইং ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন আবাসন-১ এর মাঠের ভেতরে গাড়ি চালক আতিককে হাত পা বাধা অবস্থায় হত্যা করে ফেলে রাখা হয় এবং (২৩ মার্চ ২০২৩ইং) আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এক বাড়িতে পোশাক শ্রমিক মফিজুল মোল্লা (৩০) কে গুলি করে হত্যার পর আবারও আশুলিয়া ইউনিয়নের কান্দাইল হাকিম মার্কেটের পাশে হাজী কোরবান আলীর ছেলে মোঃ আকতার হোসেন (৬৩) কে সন্ত্রাসী কায়দায় হত্যা চেষ্টা করে প্রবিবেশী সোহেল ও তার লোকজন।
আশুলিয়া থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী মোঃ সোহেল হোসেন (৪৫), মীর হোসেন (২০), দিনা (৩৫), ফাতেমা (৩২), সর্ব সাং কান্দাইল, থানা আশুলিয়া, জেলা ঢাকাদেরসহ আরও ৪-৫জন বিবাদী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রোজাদার ব্যক্তিদের উপর হামলা ও লুটপাট করার অপরাধে মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ভিকটিম আকতার হোসেন।
অভিযোগকারী আকতার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, গত (২৫ মার্চ ২০২৩ইং) তারিখ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে বিবাদী আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দা, লাঠি, লোহার রড, শাবল, দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ অবস্থায় আমার বসত বাড়ীতে আসিয়া আমাকে নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করিতে থাকে সোহেল ও তার লোকজন, তখন আমি ঘর থেকে বের হইয়া বিবাদীদেরকে রোজা রমজানের দিন এই অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করিতে নিষেধ করিলে সোহেল রানা অতর্কিত ভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা শাবল দিয়া আমার মাথায় স্বজোরে আঘাত করিয়া গুরুতর ফাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমার ছেলে শিহাব হোসেন আমাকে ফিরাইতে আসিলে বিবাদী মীর হোসেন তাহার হাতে থাকা লোহার রডের ধারালো অংশ দিয়া আমার ছেলের মুখের থুতলীতে পার মারিয়া কাটা গুরুতর জখম করে। অল্পের জন্য আমার ছেলে শিহাব প্রানে বেঁচে যায়। আসামীরা একযোগে লাঠি সোঠা নিয়া আমাকে সহ আমার ছেলে শিহাব ও অপর ছেলে সাব্বির হোসেন (২২) কে পিঠাইয়া নীলা ফুলা জখম করে। সোহেল হোসেন আমার পাঞ্জাবীর পকেটে থাকা নগদ ৭৫, ৫০০/টাকা ছিনতাই করে নিয়া যায়। বিবাদী মীর হোসেন আমার ছেলে শিহাবের হাতে থাকা একটি আই ফোন-১১ মোবাইল সেট যার মূল্য ৮৫,৫০০/টাকা নিয়া যায়। তখন ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদীরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের সুযোগ মত পাইলে জান মালের আরো বড় ধরণের ক্ষতি করিবে বলিয়া হুমকি দিয়া চলে যায়। এরপর আমাকে লোকজন সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন, আমার মাথায় ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
উক্ত ব্যাপারে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সোহেল ভুঁইয়া চাঁদপুরের হাইমচর থানার নয়নি গ্রামের মৃত হাবিবুর ভুঁইয়ার ছেলে, তিনি আশুলিয়া এলাকায় আসার পর রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন, পর্যায়ক্রমে কন্টাক্টারী করেন বিভিন্ন ভবন বাড়ির রাজমিস্ত্রির কাজ চুক্তিতে করেন। তিনি কতগুলো বিয়ে করেছেন তার কোনো হিসাব নাই। এ বিষয়ে জানতে সোহেল ভুঁইয়ার মোবাইল নাম্বারে কল করে তাকে পাওয়া যায়নি, তার দুই নাম্বার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমার স্বামী ৪টি বিয়ে করেছে, আমি দুই নাম্বার, তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
২৮ মার্চ ২০২৩ইং এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নোমান সিদ্দিক বলেন, আকতার হোসেন নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। পুলিশ ও র্যাব জানায়, অপরাধী সে যেই হোক না কেন, তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। পর্ব-১।