July 15, 2025, 3:32 am
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে সরকারি খাস সম্পত্তি জবরদখল করে মটর স্থাপন ও আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রকাশনগর মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার প্রকাশনগর মহল্লার বাসিন্দা
আমজাদ আলীর পুত্র আসলাম আলী ওরফে রাসেল গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করে সরকারি খাস সম্পত্তি জবরদখল ও সেখানে তিনটি অবৈধ মটর স্থাপন করেছেন। এদিকে পল্লী বিদ্যুতের কতিপয় কর্মকর্তাকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আর্থিক সুবিধা দিয়ে এসব মটরে আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বাণিজ্যের নামে কৃষকদের জিম্মি করে রীতিমতো চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। প্রকাশনগর মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ১৫৭ নম্বর দাগে এসব অবৈধ মটর স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয়রা এসব অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্ত্ত অজ্ঞাত কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা নিরব ভূমিকা পালন করছে। প্রকাশ নগর মহল্লার কৃষক সালাম, রবিউল ও মিজাম অভিযোগ করে বলেন, আসলাম আলী রাসেল দীর্ঘদিন ধরে খাস জায়গায় অবৈধ মটর পাম্প স্থাপন ও রীতিমতো কৃষকদের জিম্মি করে সরকার নির্ধারিত সেচ হারের থেকে চারগুণ বেশি টাকা নিয়ে জমিতে সেচ দেন। আবার মটর পাম্পের কোন সমস্যা হলে কৃষকদের কাছে থেকে মাথা পিছু ৩শ থেকে ৫শ করে টাকা নিয়ে মটর পাম্প মেরামত করেন। কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ বা বিলম্ব করলে তাকে সময়মতো সেচ দেয়া হয় না, এমনকি জমির ফসল কেটে নেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এজন্য রাসেলের নানা অত্যাচার-নির্যাতন কৃষকদের মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে আসলাম আলী রাসেল বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংযোগ দিয়েছে বলেই তো মটর পাম্প থেকে সেচ দিচ্ছি, মটর পাম্প বৈধ না অবৈধ সেটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস আর আমি বুঝবো, আপনারা সাংবাদিক নিউজ করেন বেশি বেশি। আমিও দেখবো আমার মটর পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ কোন বাপের ব্যাটা কাটতে আসে তার হাতও কেটে দিবো। এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ছটাক জমি অনাবাদি থাকবে না, সেই জন্য এসব সেচ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এতে করে কে অনুমতি পেলো আর না পেলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না, যাই মটর পাম্পে সংযোগ চাইবে আমরা তাঁকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে প্রস্তুত আছি। এতে কার কি সমস্যা হলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। এবিষয়ে তানোর বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, বর্তমনে পল্লী বিদ্যুৎ যেভাবে যত্রতত্র অবৈধ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে, তাতে বরেন্দ্রের
ডিপের পানি তোলা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এভাবে পল্লী বিদ্যুৎ অবৈধ মটর পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ যদি দিতে থাকে তাহলে আগামীতে পানির লেয়ার অনেক নিচে নেমে যাবে, এতে ডিপে পানি উঠা তো দুরের কথা খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিবে, যতো দ্রুত সম্ভব এসব মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। তিনি বলেন, ভূগর্ভস্থ পানির কথা বিবেচনা করে যেখানে নতুন গভীর স্থাপন বন্ধ আছে, সেখানে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ হয় কি ভাবে ?