July 8, 2025, 2:58 pm
মোহাম্মদ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ে আহমদীয়া মুসলিম জামায়াতের সালানা জালসাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে পঞ্চগড়ে। জালসা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ করলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে অসংখ্য।
শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড় শের-ই বাংলা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের দিকে লক্ষ্য করে অসংখ্য রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। অপরদিক থেকে মুসল্লীরাও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। এতে পঞ্চগড় জেলা শহরে যেন এক রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার জুমআর নামাজের পর পঞ্চগড় শের-ই বাংলা পার্ক সংলগ্ন মহাসড়কে জড়ো হন মুসল্লিরা। পরে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন তারা।
মুসল্লীদের দাবি, শেষ নবীকে অস্বীকার করে অন্য কাউকে নবী মেনে কেউ মুসলিম দাবি করতে পারেনা। গোলাম আহমদকে নবী মনে করে কাদিয়ানী সম্প্রদায়, তারা কাফের। ইসলামের নামে তাদের কোন জালসা আয়োজন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মেনে নিতে পারেনা। কাজেই তাদের জালসা বন্ধ ঘোষণা করতে হবে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার একই দাবিতে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়ক অবরোধ দিয়ে বিক্ষোভ করেন মুসল্লীরার। প্রায় ৫ ঘণ্টাব্যাপী এই অবরোধ চলে। পরে বিকেল ৩টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম এসে আন্দোলন কারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমঝোতার আশ্বাস দেন। পরে মুসল্লিরা বিক্ষোভ থেকে সরে যান।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরের মত এবারও পঞ্চগড়ের আহমদ নগরে বার্ষিক সালানা জালসার আয়োজন করেছে আহমদিয়া মুসলিম জামায়াত। তিন দিনব্যাপী এই জালসা শুক্রবার (৩ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে।
পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব এবং বিজিবি তৎপর রয়েছে। কোন প্রাণহানি যেন না ঘটে সেদিকেও সোচ্চার রয়েছে প্রশাসনের সর্বমহল।