November 12, 2024, 11:24 pm
স্টাফ রিপোর্টার:- নিরেন দাস
নওগাঁর পোরশায় ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভুয়া এনজিও ‘সাকো’ এর এমডিসহ দুই জন প্রতারক কে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের র্যাব সদস্যরা।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার উপজেলার সরাইগাছি বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন,উপজেলার কালাইবাড়ী গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৯) ও সরাইগাছী এলাকার মৃত.নুরুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৭)।
র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটককৃত মাসুদ রানা, তোফাজ্জল হোসেন ও জহুরুল ইসলাম সরাইগাছি বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে ‘সাকো’ নামে একটি এনজিও খুলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাসিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এফডিআর খুলে লাখ লাখ টাকা আদায় করে। শুরুতে প্রথম দুই এক মাস মুনাফা প্রদান করে এবং পরবর্তীতে মুনাফা প্রদান করা বন্ধ করে দেয়। ফলে গ্রাহকরা তাদের জমা করা টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে। এরকম ভুক্তভোগীদের মধ্যে শাহাবুদ্দিন, আমিনুল ও আমানুল্লাহ ‘সাকো’ এনজিওকে সাড়ে (১০) দশ লাখ টাকা দিলে তাদেরকে প্রতি মাসে লাখে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এনজিও-এর এমডি মূলহোতা মাসুদ রানা ও নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলামের কাছে মুনাফা চাইতে গেলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে। পরে আসল টাকা ফেরত চাইলে আজ দেব কাল দেব বলে কালক্ষেপণ করে। কিন্তু টাকা ফেরত দেয় না।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ব্যাপারে সাপাহার ও পোরশা উপজেলার প্রায় আট-দশ জন ভুক্তভোগী র্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে এসে তাদের সঙ্গে সাকো এনজিও প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করলে। অভিযোগ পেয়ে র্যাব-৫, জয়পুরহাট ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, এনজিওর এমডি মাসুদ রানা ও জহুরুল ইসলাম সবকিছু বিক্রি করে ১৬ তারিখে পালিয়ে যাবে। এরপর মঙ্গলবার সরাইগাছি বাজারে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে জুডিশিয়াল ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ মাসুদ রানা ও মাঠকর্মী তোফাজ্জল হোসেনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলাম র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আটককের পর ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে পোরশা থানায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।