September 19, 2024, 11:51 pm
এস আল আমিন,
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ২ নং বদরপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড খলিশাখালী গ্রামে বসত ঘরে ঢুকে শিখা রানী (৪০) ও তার স্বামী উজ্জ্বল দেবনাথ (৪৭) কে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৩-ফেব্রুয়ারি-২০২৩ ইং) তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় এঘটনা ঘটে। এবিষয়ে আহত উজ্জ্বল দেবনাথ বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে বিবাদীরা হলো, (১). অভিনাশ দেবনাথ (৩৫), পিতাঃ অমল তালুকদার, (২). বিপ্লব দেবনাথ (৩০), পিতাঃ লক্ষন চন্দ্র দেবনাথ, (৩). কল্পনা রানী (৫৫), স্বামীঃ লক্ষন চন্দ্র দেবনাথ, (৪). আলো রানী (৬৫), স্বামীঃ শ্রীবাস দেবনাথ, (৫). মুক্তা দেবনাথ, স্বামীঃ অবিনাশ দেবনাথ, (৬). লক্ষন দেবনাথ, পিতাঃ মৃত রামেশ্বর দেবনাথ সহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন, সর্ব সাং-খলিশাখালী, ইউপি বদরপুর। অভিযোগে বলা হয়েছে, পুর্বে জমা জমার বিরোধ থাকায় ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ১০ টার সময় সকল বিবাদীরা বসত ঘরে ঢুকে ভিকটিম উজ্জ্বল দেবনাথ এর সঙ্গে কথার কাটাকাটি করে। এক পর্যায়ে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর শুরু করলে তার স্ত্রী শিখা রানী তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বিবাদীরা শিখা রানীকে কিল ঘুশি লাতি মেরে মাটিতে ফেলে মারধর করে এতে স্বামী ও স্ত্রী দুজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জযম হয়। পরে তাদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে বিবাদীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে আহত শিখা রানী ও তার স্বামী উজ্জ্বল দেবনাথ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এবিষয়ে আহত শিখা রানী বলেন, বিবাদীরা তাদের জমি দখল করে নেয়ার জন্য পূর্বে থেকেই বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করে আসছে। এলাকার সালিশ ব্যাবস্থা কোন কিছু মানে না। আমার স্বামী ও আমাকে মারধর করে জোরপূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে আইনের মাধ্যমে মারধরকারীদের বিচার দাবি করেন। আহত শিখা রানী ও আহত উজ্জ্বল দেবনাথ এর ছেলে উওম দেবনাথ বলেন, আমরা বাড়িতে ছিলাম না এমতাবস্থায় লক্ষন দেবনাথ এর নেতৃত্বে সকলে মিলে ঘরে ঢুকে আমার মা ও বাবাকে মারধর করে ও অস্মানি করার বিচার দাবি করি। এরা এলাকায় ভুমি দখলবাজ সন্ত্রাসী রাজত্ব করে আসছে ভয়ে তাদের সামনে কেহই মুখ খুলতে চায় না। এদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আইনের দারস্থ হয়েছি। আইনের মাধ্যমে মারধর করার বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বিবাদীদের বক্তব্য নিতে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।