November 5, 2024, 6:26 am
শান্ত তালুকদার প্রতিনিধি।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় মনাই নদী সেচ দিয়ে শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ আহরণের অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে জয়শ্রী ইউনিয়নের বাগড়া হাওরের অন্তত ১০০ একর বোরো জমি বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য সোমবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের বরই গ্রামের কৃষক আ. ছাত্তার বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে যানা যায়, জয়শ্রী ইউনিয়নের বাগড়া হাওরের মনাই নদীর পূর্বপাড়ে কৃষক আ. ছাত্তারসহ স্থানীয় ২০/২৫ জন কৃষকের প্রায় ১০০ একর বোরো ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে। ওইসব জমির একমাত্র পানির উৎস মনাই নদীর পানি। কিন্তু সোমবার সকালে একই ইউনিয়নের বাখরপুর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে পাকন মিয়া, নূর হোসেনের ছেলে সেনারুল, আতাউর রহমানের ছেলে শামীম, আবুল হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন, মোতালিব মিয়ার ছেলে কামালসহ আরও কয়েকজন নদীটি সেচে মাছ ধরার জন্য কয়েকটি সেলু মেশিন বসায়। মেশিন দিয়ে পানি সেচে মাছ আহরণ করা হলে পানির অভাবে ওই কৃষকদের বোরো ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্থ হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পাকন মিয়ার বাবা খোকন মিয়া বলেন, ‘সেচের জন্য মেশিন বসানো হয়েছিল। কিন্তু তা চালু করা হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সেচ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যে জায়াগাটি সেচ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তা স্থানীয় কয়েকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাকনসহ অন্যরা (অভিযুক্তরা) লিজ নিয়েছে। মাছ ধরার প্রস্তুতি নিলে ছাত্তার তাদের (পাকন) কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পাওয়ায় ছাত্তার মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’
কৃষক আ. ছাত্তার বলেন, ‘আমি কোনো টাকা দাবি করিনি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। সেচ দিয়ে নদী শুকিয়ে মাছ ধরলে পানির অভাবে আমাদের জমিগুলো নষ্ট হবে। আর নদী শুকিয়ে মাছ ধরা আইনগত নিষেধ। জমির ফসল
বাঁচাতে ও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে অভিযোগ করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘সেচ দিয়ে নদী শুকিয়ে মাছ ধরার কোনো সুযোগ নেই। ওই সেচ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বোরো ফসলের ক্ষতি হয় এমন কোনো কার্যক্রমকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।