September 13, 2024, 5:40 pm
মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
অরুণ শর্মা একজন সাধামাটা ও গুণী ব্যক্তিত্ব। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একজন খ্যাতিমান তবলা শিল্পী ও প্রশিক্ষক হিসেবে সুনাম ছড়িয়েছেন বহু পূর্বে।তার হাত ধরেই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বহু শিশু ও কিশোর সঙ্গীতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ “তবলায় ” হাতে খড়ি নিয়ে শিক্ষক বনে গিয়েছেন ।তার হাত ধরেই দেশব্যাপী তবলা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। ২০১৯ সাল থেকে তার পর পর তিনবার মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদক অর্জন করেছে খাগড়াছড়িবাসী।
২০১৯ সালে অর্ণব ত্রিপুরা তবলায় (ক গ্রুপ ) থেকে সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার রুপ্য পদক পেয়েছিল। আবারও দেশের ৬৪টি জেলাকে হারিয়ে ২০২০ ও ২০২১ এ (খ গ্রুপ) থেকে তবলায় দেশসেরা (প্রথম) স্থান অর্জনকারী অর্ণব ত্রিপুরা গোল্ড মেডেল ও (ক গ্রুপ) থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী গল্প আচার্য্যকে রুপ্য পদকের জন্য তালিকায় নাম আসে দুইজনের।
খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের একজন স্বনামধন্য তবলার প্রশিক্ষক হিসেবে বহবছর যাবত থেকে কর্মরত রয়েছেন তিনি।বাস্তবিক অর্থে তিনি অত্যন্ত মিষ্টভাষী ও উদার মনের মানুষ হিসেবেও সুপরিচিত সবার কাছে।
খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সঙ্গীত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা মংসাথোয়াই চৌধুরী বলেনঃঅরুণ শর্মা অত্যন্ত গুণী একজন তবলার প্রশিক্ষক ও একজন ভালো মানুষও বটে।তার হাতেই আমাদের খাগড়াছড়িবাসী দেশসেরা সফলতা অর্জন করেছেন।এটা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়।
তবলায় দেশসেরা হওয়া অর্ণব ত্রিপুরার বাবা প্রিয় বসু জানান: ছোট বয়স থেকেই তবলার প্রশিক্ষক অরুণ শর্মার হাতেই অর্ণবের হাতেখড়ি হয়েছে । তিনি অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে আমার সন্তানকে তবলার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তারপর ধীরে ধীরে সে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং সফল হয়।এর আগেও ২০১৯ সালে অর্ণব তবলায় (ক গ্রুপ ) থেকে সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার রুপ্য পদক পেয়েছিল।যার সম্পূর্ণ অবদান অরুণ বাবুর।
খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র ইংরেজির শিক্ষক ও কবি ইউসুফ আদনান বলেন:বাবু অরুণ শর্মা একজন গুণী মানুষ। তিনি শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে তবলায় তালিম দেন।তার হাতে গড়া শিক্ষার্থী দেশসেরা হয়েছে এটা অনেক আনন্দের ও গর্বের।
তবলার প্রশিক্ষক অরুণ শর্মার সাথে আলাপ কালে জানান: আসলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অত্যন্ত আন্তরিক বলে এবং শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অনুশীলন করে বলে এই সফলতা এসেছে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রবিবার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেলা ৩টার সময় তার হাতে গড়া দুই শিক্ষার্থী অর্ণব ত্রিপুরা ও গল্প আচার্য্যকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি পদক প্রদান করা হবে।আর এই অনুষ্ঠানে স্বয়ং মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং পুরষ্কার প্রদান করবেন।