March 18, 2025, 12:39 pm
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চলাকালে দলটির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের ২০ সদস্য আহত হয়েছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এতে পুলিশের সংঘর্ষে আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫১) নামের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম কাজল। অন্যদিকে পুলিশের সংঘর্ষে নিহতের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ আহত হয়েছেন আরোও অর্ধ-শতাধিক।
নিহত আরেফিন প গড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়নের পাথরাজের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
জানা যায়, শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে প গড় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে পুলিশ-বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। অপরদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ দশ দফা দাবিতে গণমিছিলের প্রস্তুতি নেয় বিএনপি। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন সেখানে। পরে দলটি গণমিছিল বের করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
জেলার বোদা উপজেলাধীন ময়দানদিঘী ইউনিয়নের পাথরাজ ৯নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা আশিকুজ্জামান মানিক বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করেছে। পুলিশের রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জে আমাদের এক নেতা নিহত এবং অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
প গড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের ২০ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে কোনো গুলি হয়নি। ফলে পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।