February 15, 2025, 7:43 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ঘাটাইলে গন অধিকার পরিষদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সুজানগর পৌর বিএনপির কামাল বিশ্বাস সভাপতি, জসিম বিশ্বাস সাধারণ সম্পাদক ও  মঞ্জু শেখ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত মোংলায় আ’লীগ নেতার ফাঁ-সির দাবীতে মানববন্ধন বিশ্ব বাজারে আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজশাহী সিল্ক বরগুনার তালতলীতে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা কুড়িগ্রামের বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে বদলে যাচ্ছে চরাঞ্চলের জীবন যাত্রা লছিটিতে ইমান উদ্দিন হাওলাদার জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার শুভ উদ্বোধন শেরপুর অবৈধ মাটি খননের দায়ে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের উরস শরীফ শুরু গোদাগাড়ীতে জমি নিয়ে বিরো-ধ ১ জন খু-ন
পাইকগাছায় আমনের বাম্পার ফলন

পাইকগাছায় আমনের বাম্পার ফলন

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
বৈরি আবহাওয়া ও অনাবৃস্টির পরও পাইকগাছায় আমন ধানের আশানারুপ ফলন হয়েছে। আমন ধান কর্তন শুরু হয়েছে। উঁচু ক্ষেতের আমন ধান কর্তন ও ঝাড়াই চলছে। তবে নিচু ও মৎস্য লিজ ঘেরে আমন ক্ষেতের ধানে ফুল ফুটছে ও দুধ এসেছে মাত্র।উচু ক্ষেতের ধান আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে কাটা সম্পন্ন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। অনাবৃস্টি ও বৈরি আবহাওয়ার জন্য কৃষকরা সময় মত আমনের আবাদ করতে পারেনি।কৃষকরা আগাম কিছু ক্ষেতে সেচ দিয়ে চারা রোপন করেছে আর দেরিতে বৃস্টি হওয়ায় নাবি আবাদ করতে হয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অন্য এলাকা থেকে উপকূল এলাকায় এক মাস পরে কৃষি কাজের পরিবেশ তৈরি হয়। আবহাওয়া জনিত কারণ ও মৎস্য লিজ ঘের গুলোতে দেরিতে আমনের আবাদ করা হয়। সে জন্য আমন ধান কাটাও দেরিতে শুরু হয়। নতুন আমন ধান আশানারূপ দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আমন ধান মন প্রতি সাড়ে ৮শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের থেকে বিচুলীর চাহিদা থাকায় কৃষকরা বেশী লাভবান হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। অনাবৃস্টির কারণে ধানের আবাদ সময়মত করতে পারেনি কৃষকরা।অনেক ক্ষেতে নাবি আবাদ হয়েছে।উপজেলায় উঁচু ক্ষেত্রের প্রায় ৪০ ভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে আর নাবিতে লাগানো ক্ষেতের ১০ ভাগ ধানে ফুল ধরেছে ও ২০ ভাগ ক্ষেতের ধানে দুধ হয়েছে।কর্তনকৃত ধানের হেক্টর প্রতি ফলন হাইব্রীড ৬.৪ মেট্রিকটন, উফশী ৫.৪ মেট্রিকটন ও স্থানীয় জাতের ৩.৮ মেট্রিকটন হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের পুরাইকাটী ব্লকের কৃষক ফারুক হোসেন ও তোকিয়া ব্লকের কৃষক শফিকুল জানান, অনাবৃস্টির পরও তাদের ক্ষেতের আমনের ফলন ভালো হয়েছে।মটবাটি গ্রামের আলাউদ্দিন বলেন,তার ক্ষেতের ধান সবে ফুল ধরেছে।তাছাড়া মাজড়া পোকা লাগায় অতিরিক্ত পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেতের ধানে চিটার পরিমান বেশী হচ্ছে। এতে আবাদ করা খরচের টাকা ফিরে না পাওয়ায় কৃসকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আর সে সাথে সরকারের বেধে দেওয়া দামের চেয়ে ধান উপাদনে খরচ বেশী পড়েছে বলে কৃষকরা জানায়। সে জন্য ধানের নায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান,আমনের ফলন ভাল হয়েছে।অনাবৃস্টির কারণে আমন চাষের শুরুতে কিছুটা ব্যহাত হলেও পরে প্রচুর বৃষ্টিতে লবণাক্ত মাটি পরিশোধিত হওয়ায় আমনের ফলন ভাল হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD