April 19, 2024, 8:04 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
পঞ্চগড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা

পঞ্চগড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা

মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
করোনাকালিন সময়ের আগ থেকে দীর্ঘ তিন বছর ধরে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। দেশে চলমান ডলার সংকটের কারণে স্থলবন্দর গুলোতে নতুন করে পাথর আমদানিতে এলসি পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই সংকটের এই সময়ে দেশীয় খনিজ সম্পদ পঞ্চগড়ের পাথর শিল্পকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারী হিসেবে ইজারা দিয়ে দেশের চলমান উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় পাথর শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাথর শিল্পকে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারী হিসেবে ইজারা দিয়ে আবারও পাথর উত্তোলন করতে দেয়া হলে দেশে সংকট ময় সময়ে যেমন স্বচ্ছলতা ফিরবে শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের, তেমনি কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আহরণ করতে পারবে সরকার।
পাথর উত্তোলন বন্ধের তিন বছর পর পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের অবস্থা জানতে সরেজমিনে জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলাসহ তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শণ করা হয়। এতে করে পাথর উত্তোলনের কর্মক্ষেত্রে ব্যস্থ যায়গা গুলোতে দেখা গেছে এক সুনশান স্থবিরতা। একই অবস্থা দিনমুজুর নিম্ন আয়ের পাথর শ্রমিকদের বাড়িতেও।
তবে পঞ্চগড়সহ তেঁতুলিয়া উপজেলায় পাথর উত্তোলন বন্ধ হওয়ার পর কিছু সংখ্যাক পাথর ব্যবসায়ী বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পাথর সংগ্রহ করে দিন অতিবাহীত করলেও সংকট আবারও বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে ডলার সংকটের এই সময়ে পঞ্চগড়ে খনিজ সম্পদ পাথর সনাতন পদ্ধতিতে উত্তোলন করা হলে একটু স্বস্থি ফিরবে উত্তরের এ জনপদে। তাই ভিন্ন দেশ থেকে পাথর আমদানি না করে দেশিয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশের রিজার্ভ ঘাটতি অনেক অংশে কমে আসবে।
পঞ্চগড় পাথর বাজার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ও ব্যবসায়ী ডিজার হোসেন বাদশা বলেন, এই মুহূর্তে দেশে চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য পর্যপ্ত পরিমাণ পাথর প্রয়োজন। তাই আমদানি নির্ভর না হয়ে দেশিয় খনিজ সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে যেমন কর্মসংস্থান পাবে হাজার হাজার শ্রমিক, তেমনি উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি হবে।
পাথর ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, পূর্বের ন্যায় আমাদের এই পঞ্চগড়ে সনাতন পদ্ধতি পাথর উত্তোলন করতে দেয়া হয়। তাহলে যেমন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বাঁচবে তেমনি সরকারেরও অনেকটা উন্নয়ন হবে।
তেঁতুলিয়ার পাথর শ্রমিক ইদ্রিস আলী, আকবর হোসেন ও আব্দুর রহিম বলেন, আমরা দিন আনে দিন খাই। গত কয়েক বছর ধরে ঠিক মত কাজ পাচ্ছি না। আগে পাথর উত্তোলন করে মোটামুটি পরিবারকে নিয়ে সুন্দর ভাবে দিন অতিবাহীত করছিলাম। কিন্তু একটা অজানা ঝড়ে সব আটকে গেছে। সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবী আমাদের এই পঞ্চগড়ে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করার অনুমতি দিলে আমাদের মত হাজার হাজার দরিদ্র পরিবারের পাথর শ্রমিক একবেলা পেট ভরে খেতে পারবে।
পঞ্চগড় পাথর ও বালি ব্যবসায়ী যৌথ ফেডারেশনের সভাপতি হাসিবুল হক প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন,পঞ্চগড়ে আমাদের এই সংগঠন ছোট বড় নদীর পাথর কোয়ারী থেকে মোট ১৯টি মহালে ইজারা নিয়ে কাজ করতো। প্রতি বছরে ইজারা নিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। কিন্তু গত তিন বছরে ইজারা বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা যেমন মানবেতর জীবন যাপন করছে, তেমনি ব্যবসায়ীরাও। তবে সব দিক বিবেচনা করে নির্দিষ্ট ভাবে স্থান উল্লেখ করে পুনরায় সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করেন তবে পঞ্চগড়ের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা একটা নতুন জীবন পাবে। কারণ শতভাগ পরিবেশকে সংরক্ষিত রেখে পঞ্চগড়ে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন সম্ভব। আমরা আশাবাদি সরকার অনুমতি দিলে আমরা পরিবেশ রক্ষায় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে শুধু মাত্র সনাতন পদ্ধিতে পাথর উত্তোলন করবোl

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD