March 16, 2025, 11:40 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়- মাওলানা কামরুল আহসান ইমরুল যশোরের ঝিকরগাছায় তরুণীকে গণধ-র্ষন : ৪ যুবক আটক পটিয়ার দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিস মিয়ার পক্ষে ইফতার বিতরণ পুঠিয়ায় গঁলায় ওরনা পেচিয়ে হ-ত্যা না আ-ত্মহত্যা? স্বামী আ-টক সড়ক ও ফুটপাতে ব্যাপক চাঁ-দাবাজি বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব ও মাতৃজগত পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা মহেশপুরে শ্যামকুড় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্দ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রাজধানীর মিরপুরে বেশিরভাগ ফুটপাত দখল হকারদের কাছে-মানুষ হাঁটবে কোথায় থেকে ভলেন্টিয়ার্স অব নলছিটি এবং জুলাই শহীদদের স্মরণে নলছিটিতে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
নড়াইলের আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

নড়াইলের আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:
নড়াইলের আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান। নড়াইলের আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৪ নভেম্বর ছাদের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
বেলা সাড়ে ১১টা। বিদ্যালয়ে চলছে কার্যক্রম।উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, হঠাৎ ছাদের বিমের পলেস্তারা খসে পড়ে একটি শ্রেণিকক্ষে। ভেঙে যায় বেঞ্চ ও চেয়ার। মেঝেতে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে সেসব পলেস্তারা। তবে শিক্ষার্থীরা তখন কক্ষে না থাকায় রক্ষা পেয়েছে।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৪ নভেম্বর ওই ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের একতলা ভবনের একটি কক্ষে পলেস্তারা খসে পড়ে। এর আগেও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে ওই ভবনের। ছয়-সাত বছর ধরে জরাজীর্ণ ভবনটি। কক্ষ-সংকটের কারণে ওই ভবনে পাঠদান ও অফিসের কার্যক্রম চলে।
১৯৭২ সালে আমাদা গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে শিক্ষার্থী আছে প্রায় সাড়ে তিন শ। বিদ্যালয়ে বর্তমানে একটি একতলা ভবন ও দুটি টিনশেড ঘর আছে। টিনশেড ঘর দুটিতে আছে ছয়টি কক্ষ। এর চারটি শ্রেণিকক্ষ, একটি কক্ষে লাইব্রেরি ও আরেকটিতে বিজ্ঞানাগার। একতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে। ভবনটিতে তিনটি কক্ষ আছে। এর একটি শ্রেণিকক্ষ, একটি ছাত্রী মিলনায়তন, আরেকটিতে প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকেরা বসেন ও অফিসের কার্যক্রম চলে। পলেস্তরা খসে পড়া কক্ষটিতে নবম শ্রেণির ক্লাস হতো। বর্তমানে সেখানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একতলা ভবনটি জরাজীর্ণ। বিমের তিন ভাগের এক ভাগ পলেস্তারা খসে রড বের হয়ে গেছে। চেয়ার, বেঞ্চ ও মেঝেতে বিমের বড় বড় অংশ ভেঙে পড়ে আছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে সেগুলো। ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনে পাশের একটি কক্ষে ঠাসাঠাসি করে বসা প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকেরা। সে কক্ষেই বসে অফিস সহকারীরা অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। ভবনটির একটি কক্ষের মেঝে দেবে গেছে। টিনশেড ভবন দুটির দেয়ালে ফাটল ধরেছে। একটি টিনশেড ঘরের অবস্থা বেশি জরাজীর্ণ।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া, নাসরিন, আরমান ও রবিউল জানায়, সেদিন (২৪ নভেম্বর) পলেস্তারা খসে পড়ার সময় ওই কক্ষে থাকলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বিদ্যালয়ের মাঠে একটি কর্মসূচিতে ছিল। ওই কক্ষে বর্তমানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলমগীর গাজী বলেন, একমাত্র একতলা ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী। গত প্রায় সাত বছর ধরে জরাজীর্ণ ওই ভবনটিতে পলেস্তারা খসে পড়ে। গত বছর বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থে ২০ হাজার টাকা খরচ করে মেরামত করা হয়। এখন মেরামত যোগ্যও নয়। তারপর ঝুঁকি নিয়ে সেখানে সব কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার কুন্ডু বলেন, ‘গত প্রায় সাত বছর ধরে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ওই ভবনে কাজ চালাতে হচ্ছে। নতুন ভবন খুবই জরুরি। আমরা দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও নতুন ভবন পাচ্ছি না।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম ছায়েদুর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে নতুন ভবন অনুমোদনের জন্য যে ধরনের প্রক্রিয়া রয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD