February 15, 2025, 3:21 pm
আর্তমানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্তকারী সময়ের আলোচিত সামাজিক ব্যক্তি, অসংখ্য অগণিত সামাজিক সংগঠন ও সমাজ সেবক তৈরির নিপুন কারিগর, গরিব দুঃখী আর অসহায় মানুষের আশা বিশ্বাস আর ভালো বাসার শেষ আশ্রয়স্থল, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্র নেতা শরীফ হাসান অনু আসন্ন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন। তারুণ্যের তারুণ্য যৌবনকালে ভালোবাসায় আওয়ামী রাজনীতির দুঃসময়ে দুঃসাহসি নেতা শরীফ হাসান অনু কে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। কারো দৃষ্টিতে অনু একজন পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা, কারো দৃষ্টিতে মানবতার প্রতীক, কারো দৃষ্টিতে একজন দক্ষ সংগঠক, আবার কারো কারো দৃষ্টিতে ময়মনসিংহের মাটিতে আওয়ামীলীগের রুপকথার নেতা।
রাজনীতির বাজারে অনেক ধরনের খেলা এবং মেলা বসে থাকে, সেই খেলা এবং মেলাতে যারা জয় হতে পারে তাদেরকে বাহ্ বাহ্ দিয়ে থাকেন অনেকে। কিন্তু কর্মী প্রিয় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আস্থাভাজন নেতা শরীফ হাসান অনুর রাজনৈতিক অংঙ্গনে আকাশ ছোয়া জনপ্রিয়তা দেখে অনেকেই হিংসাহিত হচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাজনক বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দুঃসময়ে যারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে রাজনীতির সাগরে পাড়ি দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন অনু।এই জেলায় তার রাজনীতির সাংগঠনিক দক্ষতা চ্যালেঞ্জ করার মতো কেউ আছে বলে ময়মনসিংহের মানুষ মনে করে না। অনেকেই উপরের আশির্বাদ ও মহব্বতে রাতারাতি নেতা পরিণত হলেও তিনি ভিন্নতর। যে ব্যাক্তি রাজপথ দিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এই জেলায় তার তুলনা সে নিজেই, অন্য কারো সাথে তার রাজনৈতিক কৌশল তুলনা করার মত নয়। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দুঃসাহসী নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিলো তার।
এক প্রকার বলা যায় যখন সারাদেশে আওয়ামী লীগের কর্মীনিধন চলছিলো তখন ময়মনসিংহের রাজপথে সাহসী হয়ে প্রতিহত করত সব।যা আজকের প্রেক্ষাপটে রুপকথার কাহিনী।
ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসন, এই আসনের সাধার ভোটার ও রাজনৈতিক নেতাদের সুপরিচিত একটি নাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফ হাসান অনু।
এই জেলার জনগণ ও দলীয় কর্মীদের সাথে কথা বললে জানাযায়, দলের দুঃসময়ে তার ভূমিকার কথা। বিশেষ করে বিরোধী দল থাকার সময় মাঠ থেকে সংগঠনকে ধরে রেখেছিল ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা শরীফ হাসান অনু।
ময়মনসিংহে খুব কম মানুষ আছে যারা অনুর সহযোগীতা পাননি। অধিকাংশ মানুষের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে ছিলেন তিনি। রাজনীতি করতে গিয়ে অনু বিএনপি জামাত জোটের আমলে বেশ কয়েক বার হামলা মামলার শিকার হয়েছিলেন। তবুও সংগঠনের হাল ছাড়েননি তিনি। বিএনপি জামাত বিরোধী আন্দোলনে ময়মনসিংহে অনুর নেতৃত্তে প্রথমে ছাত্রলীগ পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আন্দোলনে ব্যাপক ভাবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। অনু কোনো সময় বিএনপি জামাতের সাথে আঁতাত করেননি। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দলীয় কর্মীরা বলেন, অনু নিজ স্বার্থে কখনো হামলা-মামলার শিকার হননি বরং রাজনীতি করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগকে এই জেলায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করে জনগণের আধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে আন্দোলন এবং হামলা-মামলার স্বীকার হয়েছিলেন ।১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে অনুর রাজনীতি শুরু হয়েছে। এর পর তিনি ১৯৮৮-১৯৯১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য ও শহর ছাত্রলীগের আহবায়ক, ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, ১৯৯৬-২০০২পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি,
২০০২-২০০৪পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক, ২০০২-২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য,২০০৪-২০১০ সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে সর্বশেষ ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
শরীফ হাসান অনুর হাত ধরে এই জেলায় অনেক বিশ্বস্ত নেতা-কর্মী তৈরী হয়েছে। অনু বিশ্বস্ত নেতা হিসাবে প্রমানিত ও পরিচিত। জেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিলে এবার তাকে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দেখার আগ্রহ দেখাচ্ছে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ত্যাগী ও নির্যাতিত দুঃসময়ের এই নেতা জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বে আসলে দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে হাইব্রিড ও বসন্তের কোকিলমুক্ত ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ দেখা যাবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।