April 19, 2024, 2:20 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
গোদাগাড়ীতে ১২ বছরের শিশু হত্যা করলো ৩ বছরের শিশুকে

গোদাগাড়ীতে ১২ বছরের শিশু হত্যা করলো ৩ বছরের শিশুকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৩ বছরের শিশু মাহিকে হত্যা করেছে ১২ বছরের আরেক শিশু হিজবুল্লাহ আব্বাস মিম নামের ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র।

হত্যার শিকার মাহি খাতুন উপজেলার আলোকছত্র গ্রামের মিলন খানের মেয়ে। আর হত্যার সাথে জড়িত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই বোন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ১০ টার দিকে থেকে মাহি বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে খোঁজ চেয়ে পোস্টও দেওয়া হয়।

হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম এই সময়ের মধ্যে মাহিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে আনুমানিক ১১ টার দিকে হত্যা করে ওই বাসার মধ্যেই বস্তাবন্দি করে লাশ লুকিয়ে রাখে। হিযবুল্লাহ আব্বাসের মা জাহানারা বেগম একজন স্কুল শিক্ষিকা। তিনি বিকেলে বাসায় আসলে বস্তাবন্ধি লাশ দেখতে পেয়ে লুকানোর চেষ্টা করে।

এরই মাঝে নিহত মাহির ভাই, বাবা ও গ্রামের লোকজন তার বাসায় খুজতে গেলে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করা আছে বিষয়টি টের পেলে এলাকায় জানাজানি হয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ হিযবুল্লাহ আব্বাসের বাড়ীর একটি ঘর থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ও হত্যায় জড়িত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিমকে পুলিশ আটক করে।

লাশ উদ্ধারের সময় নিহত মাহি খাতুনের গলায় তার দিয়ে বাঁধা ছিলো। এছাড়াও চাকু দিয়ে দুই পায়ের রগ কাটা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি লুকিয়ে রাখা হয় তবে পুলিশ তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, নিজে হত্যা করেছে এই কথা হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত মাহির বাবাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। মামলা দায়ের হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে হবে।

কেনো হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি হত্যার সাথে জড়িত হিযবুল্লাহ আব্বাস মিম খুবই বাজে ছেলে, এলাকায় যাকে তাকে মারধর ও চুরি করে থাকে

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD