March 29, 2024, 12:44 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
২১নং ওয়ার্ডকে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এলাকা গড়তে কাউন্সিলরের অভিযান সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকারকে বিদায় সংবর্ধনা লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্ট অভিযান নড়াইলে দুইজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার পাইকগাছায় ১ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার-১ ধামইরহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের মাঝে নগদ অর্থ ও হুইল চেয়ার বিতরণ অবশেষে সংস্কার করা হলো বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাট মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও গাছের চারা রোপন কালীগঞ্জে উঠান বৈঠকে চারা, বীজ,পুষ্টি প্লেট বিতরণ সাভারে হত্যা মামলার আসামী পিনিক রাব্বী গ্রুপের অন্যতম সদস্য রাজিব গ্রেফতার
ক্ষেতলাল তুলশীঙ্গগা ইউপি ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী টাকার বিনিময়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার

ক্ষেতলাল তুলশীঙ্গগা ইউপি ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য প্রার্থী টাকার বিনিময়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। আগামী (২নভেম্বর) উপজেলার ২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।
প্রত্যাহারে এক দিন আগে প্রার্থীতা প্রত্যহারের গোপন চুক্তির অডিও ভিডিও ক্লিপ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কেও বলে ১০ লাখ কেও বলে ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ইউপি সদস্য প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন সেই অডিও এরই মধ্যে জনরস সৃষ্টি হয়েছে । যেখানে টাকা-পয়সা লেনদেন এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে পুরো পরিকল্পনার তথ্য ফাঁস হয়েছে।
জানা গেছে আগামী ২ (নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে ক্ষেতলাল উপজেলার তুলসীগঙ্গা ও বড়তারা ইউপি নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনে তুলসীগঙ্গা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দাশড়া উত্তর পাড়া ফকির পাড়া এলাকা হতে দ্বিতীয় বারের মতো মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেন ছানোয়ার হোসেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহারুল ইসলাম মেহেদুল। নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিলো গত (৭ অক্টোবর) তার আগেই মেম্বার ছানোয়ার তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহারুল ইসলাম কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছেন। এখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মেম্বার হওয়ার পথে। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে বিভিন্ন গুঞ্জন উঠেছে।
নির্বাচনি এলাকায় স্থানীয় মনঝার বাজারে সরজমিনে গিয়ে বেশকিছু স্থানীয় ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে। টাকার বিনিময়েই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কে বসিয়ে দিয়ে এখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মেম্বার হচ্ছেন ছানোয়ার। বিভিন্ন চায়ের দোকানে শুধু এমন আলোচনা সমালোচনার ঝড়। ভোটারদের মাঝেও৷ এলাকায় কিছু পাতি নেতারা মোটা অংকের টাকা খেয়ে শাহারুলকে বসিয়ে ছানোয়ার মেম্বার হলো ৷ অযোগ্য নেতারা ভুল সিদ্ধান্তের চেয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় বেশি হারিয়ে যায়৷
এবিষয়ে মেম্বার ছানোয়ার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তার শশুর আমার হয়ে কাজ করছে। এলাকার মুরব্বিগণ ও প্রার্থী আমার কাছে প্রস্তাব করে ৮শতাংশ জায়গা আমি নিকটস্থ মসজিদের নামে লিখে দিলে আমার বিপক্ষের প্রার্থী তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করবে। সেই অনুযায়ী আমি জমি মসজিদের নামে লিখে দেওয়ার অঙ্গিকার করি। পরে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা পয়সা বা কোন প্রকার লেনদেন হয়নি। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই সময় স্বাক্ষাত নেওয়া শেষে এক জনৈক ব্যক্তি জন্মনিবন্ধনের স্বাক্ষর নিতে আসা নারী বলেন, আপনি ১০ লক্ষ টাকায় মেম্বারি কিনে নিয়েছে৷ আমাদের ভোট কি ভাবে কিনলেন৷
মসজিদ কমিটির সদস্য আলাল সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন মসজিদের জমি ছানোয়ার কেন দান করবে। আজ নির্বাচনে এসেছে মসজিদকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় হচ্ছে। জমি দানের মাধ্যমে দুই প্রার্থী আপোষ করে একজন মেম্বার হয়েছে এটি গুজব। দান কখনো ঢোল পিটিয়ে হয় না। মাত্র দেড় শতক জমি এওয়াজবদল করা হয়েছে৷এটি পৃরানো ঘটনা শুনেছি ভোট বিক্র হয়৷ এখন দেখতেছি প্রার্থী বিক্র৷
এবিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহারুল ইসলাম মেহেদুলের কাছে জানতে চাইলে বলেন, নির্বাচনে যদি আমি ফেল করি তবে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমি যাদের রাজনৈতিক গুরু মনে করি তারা আমাকে এই বিষয়টি বুঝিয়ে বললে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করি। আর্থিক লেনদেন এর কথা স্বীকার করে বলেন, এটা অভ্যন্তরিন বিষয় দয়া করে আর জানতে চাইবেন না।
ফাঁস হওয়া অডিও ভিডিতে শোনা যায়, শাহারুল বলেন আমার ফিল্ড খুব ভালো। এলাকাবাসি আমাকে ব্যাপক শ্রদ্ধা করেন। কিন্তুু আমার রাজনীতিক অভিভাবকের পরার্মশে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি৷ ওই ভিডিওতে তাকে আরো বলতে শোনা যায়, টাকা আমি পেয়েছি৷ সেই টাকা তাও আবার আমার কর্মীদের বিলিয়ে দিয়েছি৷৷
সরজমিনে নির্বাচনি তুলশিগঙ্গা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এলাকায় গিয়ে লোকমূখে শোনা যায়, সাধারণ ভোটারদের ভোট নিয়ে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা ব্যবসা খুলেছে। টাকার বিনিময়ে সাধারণ ভোটারদের ভোটাধিকার এরা খর্ব করেছে। কয়েক বছর পর ভোট মন খুলে ভোট দেবো তা আর হলো না। স্থানীয় নির্বাচনেও এই রকম ডিজিটাল কারচুপির নতুন কৌশল। সেই কৌশলের অংশ হিসাবে সাহারুল ইসলাম মেহেদুল মোটা অংকের টাকা খেয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
সদ্য সাবেক ইউপি সদস্য ছানোযার হোসেন পেশায় ছিলেন একজন ভটভটি চালক। পরে কীটনাশক ব্যবসার মধ্যে দিয়ে গত ৫ বছরের মধ্যে কোটিপতি বনে গেছেন। জনস্রোতি আছে, বগুড়া মোকামতলা থেকে ভেজাল ঔষধ আমদানি করে কৃষকের মাঝে বিক্রয় করেন। কয়েক বার পুলিশ অভিযান দিলেও ভেজাল কীটনাশক সরবরাহকারী এই ছানোয়ার হোসেন থাকেন উপজেলা প্রশাসনের অন্তরালে। ফলে অল্প দিনের মধ্যেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান।
এ ব্যাপারে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার আনিছার রহমান বলেছে, কোনভাবেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুযোগ নেই। টাকা দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD