February 15, 2025, 6:58 am
গীতি গমন চন্দ্র রায়।।স্টাফ রিপোর্টার।।ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে উপজেলা প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ধিত সভা ও আমগাঁ ইউনিয়ন কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের শত বছরের ঘুণে ধরা ১৯টি জেলা ও ৪২টি মহকুমাকে ভেঙ্গে ৬৪টি জেলা তৈরী করেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা ও জেলা সদর দপ্তর নির্মাণ করেন। সরকারী সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় অসংখ্য সরকারী ভবন নির্মাণ করেন।সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্য করেন উপজেলায় গিয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য। ১৯৮৮ থেকে ৯০ সালে সারা দেশে ৫৬৮টি গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করে ২১ হাজার ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করেন।
জাতি গঠনের লক্ষ্যে সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন করেন পল্লীবন্ধু।শিক্ষাকে বাস্তবমুখী,বিজ্ঞানভিত্তিক এবং অর্থনৈতিক চাহিদার পূর্ণ উপযোগী হিসেবে ঢেলে সাজান।
উক্ত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী জননেত্রী নুরুন নাহার বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিশেষ অতিথি মোঃ আবুল কালাম আজাদ সাধারণ সম্পাদক বালিয়াডাঈী উপজেলা শাখা, আফতাব উদ্দিন মন্ডল সাবেক সভাপতি হরিপুর উপজেলা জাতীয় পার্টি সহ জেলা ও উপজেলা ছাত্র সমাজের নেতাকর্মীবৃন্দ।
এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুন নাহার বেগম বলেন,প্রতি ২ কিলোমিটার এলাকা বা ২ হাজার মানুষের বসবাস এলাকায় একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তিনিই পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই, খাতা ও পেন্সিল বিতরণ শুরুই করেন তিনি।অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মেয়েদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দেন।চারটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা একই দিনে নেয়া শুরু করেন। প্রতিটি উপজেলায় একটি বালক ও একটি বালিকা বিদ্যালয় এবং জেলা সদরে একটি কলেজকে আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন।২১টি কলেজকে জাতীয়করণ করেন।৯টি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করেন।ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়,মাদ্রাসা ও কলেজ শিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা ৭০ ভাগ বৃদ্ধি করেন। ৬টি বিশ্বদ্যিালয় হল এবং ১৭টি কলেজ হোস্টেল নির্মাণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের নামে কোনো হল নির্মাণ না করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানের নামে দুটি হল সহ মেয়েদের জন্য বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল নির্মাণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ ছাড়াও জনগণের কল্যাণে আরো অসংখ্য অসংখ্য উন্নয়নের নজির স্থাপণ করেছেন পল্লীবন্ধু যা স্বল্প পরিসরে লিখে শেষ করা যাবেনা।
তিনি আরো বলেন যে,আমি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমার নির্বাচনী (হরিপুর-বালিয়াডাঙ্গী) আসনে নির্বাচন করতে চাই। সেই জন্য আমি আপনাদের দোয়া ও সমর্থন আশা করছি। আপনারা আমার পাশে থাকলে আমরা আগামীতে জয়ী হবে।
এ দেশে রাষ্ট্র পরিচালনায় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উপজেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করে উন্নয়নের যে কীর্তি গড়েছেন তা এক কথায় বলে শেষ করা সম্ভব নয়।উন্নয়নের কীর্তির মাঝেই বেঁচে থাকবেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দল।