September 17, 2024, 3:03 am
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
স্ত্রী সীমা হত্যার বিচারের দাবীতে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মলেন ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। রবিবার (১৬ অক্টোবর) দুুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহামায়া গ্রামে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহতের পরিবার ও গ্রামবাসী। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের পিতা সাহজুল ইসলাম, মা আম্বিয়া খাতুন, দাদী সামিরোন নেছা, বোন রিতা খাতুন, চাচী রাবিয়া খাতুন, প্রতিবেশী নেকবার আলী, রোকেয়া খাতুন ও চম্পা খাতুন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মধুহাটি ইউনিয়নের মহামায়া গ্রামের সাহাজুল ইসলামের মেয়ে সিমা খাতুনের সাথে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার কাশিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান সজলের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর সজল কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অংশ গ্রহণ করেন। এরপর নির্বাচনী খরচ বাবদ স্ত্রী সীমাকে তার পিতার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আনতে বলে স্বামী। পিতা টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে বাপের বাড়ি ফেলে রাখে সজল। নির্বাচনে জয়লাভ করে সজল স্ত্রী সীমাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে সীমাকে বেধড়ক মারপিট করে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। প্রচার করে সীমা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছে সিমা খাতুনের মরদেহ বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে। সীমার স্বজনদের দাবী পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হলেও পুলিশ মামলা গ্রহন করেনি। ফলে ঝিনাইদহের একটি আদালতে কাউন্সিলর সজলকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহীম মোল্লা জানান, প্রাথমিক ভাবে থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে এটা হত্যা না আত্ম হত্যা।
ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান।