January 21, 2025, 12:54 pm
রিপন ওঝা,মহালছড়ি।
মহালছড়ি উপজেলার পাহাড়ের কৃতি সন্তান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে সম্মানের সহিত স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী ক্রা এএ্ এগ্রো ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা সফল কৃষক হ্লাশিং মং চৌধুরী।
তিনি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা ব্যবহার ক্যাটাগরিতে কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা ও প্রচারণামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ব্রোঞ্জপদক পেলেন।
দেশের কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠান স্থলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীংয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ৪৪ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে” বঙ্গবন্ধু কৃষি” পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে রাখেন।
পুরস্কারের অর্থ ও মানবন্টনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদপত্র, পদক ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা এক লাখ টাকা, রৌপ্যপদক প্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপদক প্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।
ক্রা এ এ্ এগ্রো ফার্মে দেশি-বিদেশি ৫০০ আমের চারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে শখের বসে শুরু করেন বাগান। এ শখই মাত্র তিন বছরে তাকে সাফল্য এনে দিয়েছে। খাগড়াছড়িতে প্রচলিত, অপ্রচলিত ও বিলুপ্তপ্রায় ফলদ বাগান সৃষ্টি করে জাতীয় পর্যায়ে পেয়েছেন সফল ফলদ বাগানীর স্বীকৃতি। জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হয়ে পাহাড়কে নতুনভাবে পরিচিত করেছেন হ্লাশিং মং চৌধুরী। তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে তিনি এ স্বীকৃতিও লাভ করেন।
ক্রা এএ্ এগ্রো ফার্মে সকল মৌসুমের সকল ধরনের ফলমূল পাওয়া যায়।
এমন খুশিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল যোগে উপস্থিত অতিথিদের হাতে পুরস্কার গ্রহণ করায় মহালছড়ি উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক রিপন ওঝাসহ সকল নেতৃবৃন্দের পক্ষ হতে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
উল্লেখ্যে যে, মহালছড়ি উপজেলা সদর থেকে ৭ কি.মি দূরে মহালছড়ি-সিন্ধুকছড়ি সড়কের পাশে ধুমনীঘাটের কাটামূড়া নামক এলাকায় ‘তরু-বীথি মিশ্র ফলদ বাগান তৈরি করেন। তিনি যেখানে পানির সংকট মোকাবেলায় মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করছে। সেখানে ফলদ বাগান সৃষ্টি কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই অসাধ্যকে সাধন করে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪শ’ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় ড্রাগন চাষ করে আশা জাগিয়েছেন এক প্রান্তিক চাষি। শুধু ড্রাগন চাষই নয়, মহালছড়ির ধুমনীঘাট এলাকায় ৪০ একর টিলা ভূমিতে প্রচলিত, অপ্রচলিত ও বিলুপ্ত প্রায় সব ধরনের ফলদ গাছ সৃষ্টি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।