February 15, 2025, 6:31 am
রফিকুল ইসলাম. রাঙ্গাবালী পটুয়াখালীঃ
মা-ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করার লক্ষ্যে আগামী ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এই সময়ে ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুত ও বিনিময়ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এমন ঘোষণায় বাজারে চাহিদা বেড়েছে ইলিশের। ছোট থেকে বড় সব আকারের মাছের দামও বেড়েছে।
সোমবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ২০০ গ্রাম থেকে প্রায় ২ কেজি ওজনের ইলিশ মাছ রয়েছে। দাম ৪০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে। নিষেধাজ্ঞাকে সামনে রেখে বাজারে আকার ভেদে কেজি প্রতি ইলিশের দাম বেড়েছে ৫০-১০০ টাকা।
পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আর কয়েকদিন পরই ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। তাই বাজারে মাছের সরবরাহ বেশি। কিন্তু হঠাৎ করেই আজ ৫০-১০০ টাকা দাম বেড়েছে। গতকালও যে মাছ ৮০০ টাকা ছিল, সেটি আজ ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামনে আরও দাম বাড়তে পারে। বর্তমান বাজারে চরমোন্তাজ ও মৌডুবি এলাকার মাছ বেশি আসছে।
ব্যবসায়ী তালেফ খলিফা বলেন, আর মাত্র ৩ দিন কেনা-বেচা হবে। বর্তমানে মাছের অফুরন্ত সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে হঠাৎ করেই দাম কিছুটা বেড়েছে। সামনের কয়েকদিন আরও বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও অনেক। যারা সাপ্তাহিক বাজারে এসেছেন, তারা অন্তত ৫ কেজি পরিমাণ মাছ কিনছেন। কেউ কেউ আরও বেশি নিচ্ছেন।
বাজারের আসা ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, সকাল থেকে ক-একটি বাজার ঘুরে এখানে এসেছি। ওইসব বাজারে দেড় কেজির বেশি ওজনের মাছের দাম চেয়েছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। কিন্তু পাইকারি বাজারে এসে দেখলাম দাম কিছুটা কম। তবে একেবারেই যে কম, তা নয়।
রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২০০ থেকে সাড়ে ৩০০ গ্রাম ওজনের মাছের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, ৫০০ গ্রামের অধিক ওজনের মাছের কেজি ৬৫০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছের কেজি ৯০০ টাকা, ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের মাছের কেজি ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকা।
এছাড়া, ১ কেজির বেশি ওজনের মাছের কেজি ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।
অবরোধ কেমন হবে এ-বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল বলেন, ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মতো এবারও কঠোর ভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যদি কেউ অবৈধ ভাবে মাছ ধরে বা বাজার যাত করে তাহলে এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হবে না। ইলিশ সম্পদ ধ্বংসকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিনে অভিযানের পাশাপাশি এবার রাতেও অভিযান জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন গুলোর বরফ কল বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। গত বছরের মতো এবারও অবৈধ জাল উৎপাদনস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত ইউনিয়ন গুলোর নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে।
রফিকুল ইসলাম
রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী সংবাদদাতা।