February 15, 2025, 7:01 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ঘাটাইলে গন অধিকার পরিষদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সুজানগর পৌর বিএনপির কামাল বিশ্বাস সভাপতি, জসিম বিশ্বাস সাধারণ সম্পাদক ও  মঞ্জু শেখ সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত মোংলায় আ’লীগ নেতার ফাঁ-সির দাবীতে মানববন্ধন বিশ্ব বাজারে আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজশাহী সিল্ক বরগুনার তালতলীতে সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা কুড়িগ্রামের বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে বদলে যাচ্ছে চরাঞ্চলের জীবন যাত্রা লছিটিতে ইমান উদ্দিন হাওলাদার জামে মসজিদ ও মাদ্রাসার শুভ উদ্বোধন শেরপুর অবৈধ মাটি খননের দায়ে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের উরস শরীফ শুরু গোদাগাড়ীতে জমি নিয়ে বিরো-ধ ১ জন খু-ন
নড়াইলের মধুমতীতে ভাঙনের মুখে ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

নড়াইলের মধুমতীতে ভাঙনের মুখে ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

নড়াইলের মধুমতীতে ভাঙনের মুখে ঐতিহ্যবাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে। তিন একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে একাডেমিক ভবন ছাড়াও তখন ছিল বিশাল খেলার মাঠ। তবে ১৯৯০ সালে মাঠসহ বিদ্যালয়টি মধুমতী নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। এরপর বিদ্যালয়টি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, বর্তমানে সেই ভবনটিও মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। বিদ্যালয়টির নাম মাকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামে মধুমতী নদীর তীরে এই বিদ্যালয়ের অবস্থান। নদীভাঙন বিদ্যালয়ের কাছে চলে আসায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে হারিয়ে যেতে পারে। ভাঙনের কারণে ওই এলাকার মাকড়াইল, কাশিপুর ও রামচন্দ্রপুর নদীতে বিলীন হচ্ছে। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে সর্বোচ্চ ১০০ মিটার এলাকায় দ্রুত বালুর বস্তা ফেলা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হওয়ার পর ওই গ্রামের বাসিন্দা তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বিদ্যালয়ের জন্য ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। সেই জমিতে গড়ে ওঠে বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দুটি একতলা ভবন ও একটি টিনশেড ঘর আছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের ভবনটি ঘেঁষে নদীর স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। ভবনের গায়ে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। টিনশেড ঘরটির একটি কোনা নদীতে চলে গেছে। সেখানে ভাঙন ঠেকাতে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। সেসব বস্তার কয়েকটি নদীতে চলে গেছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ফজলুর রহমান মৃধা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যর প্রচেষ্টায় ভাঙন ঠেকাতে এখানে তাৎক্ষণিকভাবে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। এটি না ফেললে বিদ্যালয় ভবন এত দিনে নদীতে চলে যেত। ভাঙন এখন বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে। সেখানে সর্বোচ্চ ১০০ মিটার এলাকায় দ্রুত বালুর বস্তা ফেলা দরকার। তাহলে বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী ভাঙনের কবল থেকে আপাতত বাঁচতে পারবে।
বিদ্যালয়টির শিক্ষকেরা বলেন, ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত বিদ্যালয়টি একসময় প্রাণোচ্ছল ছিল। বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ ঘিরে নানা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন হতো। নদীভাঙনের ফলে ধীরে ধীরে সবকিছু ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্য হারাচ্ছে এলাকা। আশপাশের গ্রামগুলোয় নদীভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। এখানে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে এসব জনপদ বিলীন হয়ে যাবে। নড়াইলের
লোহাগড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার বর্মণ বলেন, উপজেলার মধ্যে নদীভাঙনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে বিদ্যালয়টি। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জানেন।
পাউবো নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন বলেন, সেখানে ভাঙন ঠেকাতে তাৎক্ষণিক বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ছয় মাস আগে নড়াইল জেলার ২৩টি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একনেকে পাস হওয়ার জন্য এর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে তৃতীয় পক্ষের জরিপ লাগে। ওই জরিপের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন হলে জরিপ হওয়ার পর মূল প্রকল্পটি অনুমোদন হবে। এরপর কাজ হবে।
উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD