September 20, 2024, 12:29 am
পাখিরা প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর একটি অনুষঙ্গ। পাখিরা বনভূমি এবং বীজ পরাগায়ন থেকে শুরু করে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ এবং মাটির নিষেক করণ পর্যন্ত করে থাকে। কোন বন, খামারে বা কেবল বাগানেই হোক না কেন, এই পালকযুক্ত বন্ধুরা প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। অথচ সমাজের এক শ্রেণীর মানুষেরা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী পাখিদের নির্বিঘ্নে শিকার করে আটক করে কেউ বিক্রি করে আবার কেউ খাচার ভিতরে রেখে গৃহবন্দী করে রাখে। আর এসব পাখি খেকো দের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। ১৪ ই সেপ্টেম্বর বুধবার তিনি মোবাইল কোর্টের অভিযান চালিয়ে পাখি শিকার করে বাজারে এনে বিক্রির অপরাধের প্রেক্ষিতে এক পাখি শিকারীকে বণ্যপ্রানী (সংরক্ষণ) আইন ২০১২ মোতাবেক শাস্তি প্রদান করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কাওছার আহম্মদ খান, স্থানীয় বিসিআইসি ও বিএডিসি সার পরিবেশক হাবিবুর রহমান মাসুদ ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত পাখি গুলো মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ কমিটির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় পাখি শিকারি ও পাচার করায় শিকারীকে মোবাইল কোর্টের আওতায় শাস্তি প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত ।
ইউএনও মিজাবে রহমত জানান, শিকারিরা ভবিষ্যতে আর বন্যপ্রাণি শিকার না করার অঙ্গিকার করেছে। ভবিষ্যতে এধরণের অপরাধ করলে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হবে।তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ধারা ৬ অনুযায়ী পাখি শিকার, হত্যা, ক্রয় বিক্রয়, আটক রাখা, ইত্যাদি দণ্ডনীয় অপরাধ।