February 11, 2025, 8:50 pm
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ঃ
মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে নরসিংদীর এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই তরুণী পঞ্চগড়ের বোদায় ধর্ষণের শিকার হন। পরদিন শনিবার রাতে নির্যাতিতা বোদা থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ দুই-তিনজনকে অজ্ঞাত পরিচয় উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
মামলা হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক ও তার সহযোগী আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন – বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে কথিত প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫), তার বন্ধু প্রসাদ খাওয়া এলাকার রহিদুলের ছেলে মো. আপন (২৫), আরেক বন্ধু একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০) এবং বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)। আপন ও আশরাফুল পলাতক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মালেকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেম হয় ওই তরুণীর। প্রায় নয় মাসের প্রেমের সূত্র ধরে এবং প্রেমিকের বিয়ের আশ্বাসে শুক্রবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের বোদায় চলে আসেন তিনি। পরে আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় প্রেমিক মালেক বোদার প্রসাদ খাওয়া এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যান তাকে। সেখানে আশরাফুল ও আপন নামে অন্য দুই তরুণ আসেন।
বাড়িতে অন্য কোনো লোক না থাকায় সেখানে থাকতে রাজি হননি তরুণী। পরে বিয়ের জন্য রাতেই তাকে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে পাশের একটি আমবাগানে নিয়ে মালেক, আপন ও আশরাফুল ধর্ষণ করেন। এ সময় ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেনসহ আরো দুই-তিনজন পাহারায় ছিলেন।
এদিকে মেয়েটির চিৎকার-চেঁচামচিতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ওই তরুণীকে রেখে পালিয়ে যান তারা।
বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার প্রধান আসামি মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে বহনকারী একটি ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার দুজন আদালতে স্বীকারাক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। খবর পেয়ে তার অভিভাবকরা থানায় এসেছেন। তরুণীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি সুজয় কুমার রায়।