April 22, 2025, 7:19 am
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
মুখে বিষ ঢেলে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ
পঞ্চগড়ে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে আর্নিকা (২৭) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর এ অভিযোগ করেছেন মৃত গৃহবধূর বাবা-মা। বুধবার (১৭ আগস্ট) ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০ নং গরিনা বাড়ি ইউনিয়নে মানুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত আর্নিকা ওই এলাকার রাহিরুল ইসলামের স্ত্রী। তার ২টি সন্তান রয়েছে। একটি ১২ বছর এবং অপরটি ৬ বছরের। নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, শ্বশুর-শাশুড়ি ও তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে আর্নিকার ওপরে অত্যাচার করে থাকে। এর আগে, বিচার-সালিশ হয়েছিল গত মঙ্গলবার দিবাগত ভোর রাতে আনিকাকে মেরে ঘাড় মটকে দিয়ে বলে বিষ খাইয়ে দেয় এমনই অভিযোগ মৃত আনিকার বাবা-মায়ের। এ সময় আর্নিকার চেঁচামেচিতে এলাকাবাসী আসলে তাৎক্ষণিক সেখান থেকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে আর্নিকার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এরপর নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। পরে বাসায় নিয়ে আসলে এবং পুলিশ খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সূত্র আরো জানায়, নিহত গৃহবধূ ওই ইউনিয়নের যোদার পাড়া গ্রামের আনছারুল ইসলামের মেয়ে। নিহত গৃহবধূর মা রাইকা বেগম বলেন, মানুপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে মো. রাহিরুল ইসলামের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। সংসারজীবন তাদের সুখের ছিল না। যৌতুকের টাকার জন্য আমার মেয়েকে উঠতে বসতে মারত। তার ছেলেমেয়ের দিকে তাকিয়ে নির্মম অত্যাচার সহ্য করে সংসার করত আমার মেয়ে। কিন্তু তারা আমার মেয়েকে মেরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে নিহত আর্নিকার শ্বশুরবাড়ির লোকদের সাথে কথা বললে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হানিফ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ওইদিন দুপুরে আর্নিকার মরদেহ উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাই। এর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আত্মহত্যা নাকি হত্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলেই তা বোঝা যাবে।