June 21, 2025, 8:29 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৩ লক্ষাধিক মসজিদে প্রচারণায় ইসলামি দলগুলো স্বর্ণের দোকানগুলোতে লাইসেন্সবিহীন এসি-ড ব্যবহার ও চলছে জমজমাট সু-দের কারবার বর্ষাকালের বৃষ্টি কৃষিকাজের জন্য আশীর্বাদ বরিশাল -১ আসনে দূর্দিনের কান্ডারী সোবহান’কে চায় জনগন গোদাগাড়ীতে ধান-চাল সংগ্রহে ভ-য়াবহ প্র-তারণা নেছারাবাদে ৮৭ বছরের বৃদ্ধার কী-টনাশক পান করে আত্মহ-ত্যা নড়াইলে পৃথক অভি-যানে বিপুল পরিমাণ ইয়া-বা ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেফ-তার জীবননগরে পুলিশের মাদ-কবিরোধী অভি-যান: ১১০ পিস ইয়া-বাসহ গ্রেফ-তার ১ আশুলিয়ায় দুই ছিন-তাইকারীকে গ্রেফ-তার ও দেশীয় অ-স্ত্র উদ্ধার! জীবননগর থানার বিশেষ অভি-যানে সা-জাপ্রাপ্তসহ ৫ আ-সামি গ্রেফ-তার
বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দছিজল হক (৬২) নামের এক ভূক্তভোগী। সে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার আগস্ট দুপুরে সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, বার-বার মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমারা পৈতৃকমূলে ৭ বিঘা ২ শতাংশ জমি পাই। ১৯৭৬ সালে আমার বাবা আজিম উদ্দিন সকল সম্পত্তি আমার জেঠাতো ভাই মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল ওরফে পিশাচ (৮০)কে বর্গা দিয়ে স্বপরিবারে ঢাকায় যায়। পরে ১৯৭৭ সালে আমার বাবা আজিম উদ্দিন সেখানে মারা যান। বাবা বেঁচে থাকাকালিন সময়ে জলিল জমির ফসলের ভাগ দিতেন। এরপর ১৯৮৫ সালে আমরা দশ ভাই-বোন পৈতৃক ভিটায় এসে জমি ফেরত চাইলে জলিল পিশাচ জমি কিনেছেন বলে জানান। এ অবস্থায় জমির দলিল দেখতে চাইলে তিনি হুমকিসহ মারধরের চেষ্টা চালালে আমরা নিরুপায় হয়ে ১৯৮৯ সালে স্বপরিবারে আবারও ঢাকায় যাই। এই সুযোগে আমাদের বসত ভিটার ঘরসহ আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে জলিল মিয়া হলুদ চাষসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করে। বিষয়টি জানার পর আমরা ঢাকা থেকে আসলে আমাদেরকে পৈতৃক ভিটায় উঠতে দেয়নি। এমতাবস্থায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে থেকে জমি উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর একপর্যায়ে ২০২১ সালে ওই জমিতে থাকা আমার স্ত্রীসহ পাঁচজনের কবর সরাতে চাপ দেন জলিল পিচাশ। তখন উভয়ের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংঙ্কা দেখা দিলে গ্রামবাসীর উদ্যোগে গত ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর একটি শালিশ হয়। এতে জলিল কোন প্রকার কাগজ দেখাতে না পেরে এক মাসের সময় নিয়ে ছলচাতুরির মাধ্যমে ১২ অক্টোবর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় বসত ভিটার ৭৫ শতাংশ জমির উপর গোপনে মামলা করেন। মামলার নথিপত্র তুলে দেখা যায় অন্যের জমির কাগজপত্র দিয়ে মামলা করেছে। পরে মামলার বিষয়টি সালিশী বৈঠকে জানানো হলে ৪ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়াসহ এলাকাবাসী জমি পরিমাপ করে বসত বাড়ির ৩৪ শতাংশ জমি বুঝে দেন। এরপর টিনের চালা উত্তোলন করলে সেই রাতেই প্রতিপক্ষ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমরা বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে পুলিশ গিয়ে তা ভেঙ্গে দেয়। বাধ্য হয়ে আমরা ১৬০ শতাংশ আবাদি জমি দখলে নিয়ে সরিষার আবাদ করি। এরপর ওই জমির ওপর ১৩ ডিসেম্বর আদালতে একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা করেন জলিল পিচাশ। পরে জলিল পিশাচ আবারও চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি সমস্ত জমির ওপর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা করেন। এছাড়া জমিতে লাগানো ধানের চারা উবরে ফেলার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীসহ প্রতিহত করে জলিল পিশাচসহ ১১জনকে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করি। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল থানার এসআই রাশেদ একটি সালিশী বৈঠক করেন। এতে জলিল পিশাচ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তিনি আমাদেরকে ধান কাটার অনুমতি দেয়। আমরা ধান কাটতে গেলে তারা আমাদেরকে মারপিট করলে আমিসহ চারজন গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। এঘটনায় চলতি বছরের ২ মে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। জলিল মিয়াও পাল্টা মামলা করেন। এছাড়া জলিল মিয়া গত ৪ আগস্ট ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় আরও একটি মামলা করেন। ১৪ আগস্ট ভাঙচুরের অভিযোগ এনেও মামলা করেন। জলিল পিশাচ বারংবার মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানী করায় আমরা পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জলিল পিশাচ, তার স্বজন ও পুলিশী হয়রানী থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার মেয়ে জাহানারা বেগম, জামাতা জাহেদুল ইসলাম ও ছোটবোন নুরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD