September 10, 2024, 6:56 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সিএমপি ও চট্টগ্রাম জেলার ৩০ থানার ওসিদের একযোগে বদলির আদেশ বাবুগঞ্জে পালাক্রমে শিশু ধ*র্ষন অতপর থানায় মামলা টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন পঞ্চগড়ে বিয়ের দাবিতে বিধবার অনশন জুলাই গণহ*ত্যার বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন- আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী পানছড়ির উপজেলা ইয়ুথ গ্ৰুপের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ সমাবেশ আ’লীগ থেকে ঝিনাইদহে জিপি পিপি এপিপি এজিপি নিয়োগের পায়তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে ঝিনাইদহ ছাড়লেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক র‌্যাব-১২ সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নড়াইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী নিহ*ত
১২ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কের নির্মান কাজে দুর্নীতি রাতের আধারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল ব্লাক টপ

১২ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কের নির্মান কাজে দুর্নীতি রাতের আধারে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল ব্লাক টপ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
দিনে খোড়া হচ্ছে সড়ক। রাস্তার উপরের কালো পাথর (ইষধপশঃড়ঢ়) রাখা হচ্ছে দুই পাশে। আর রাতের আধারে ট্রাকে করে তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে অন্য কোথাও। এভাবে রাস্তার ‘ব্লাক টপ’ ক’দিন ধরে সরিয়ে পর অবশেষে জনতার হাতে আটক হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ট্রাক ড্রাইভার। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার লালন সড়কের নির্মান কাজে। নিয়ম অনুযায়ী উপরের ব্লাক টপ সড়কেই থাকার কথা। কর্তৃপক্ষ বলছেন, এগুলো সরিয়ে নেওয়া নিয়ম বহির্ভূত। সিডিউল অনুযায়ী এগুলো সড়কেই থাকার কথা। উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের তথ্যমতে, শহরের দোয়েল চত্তর মোড় থেকে বাকচুয়া পর্যন্ত সড়কটির ১১.২৩০ কিলোমিটার পুনর্নির্মাণের জন্য ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১২ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৮ টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। ইপিআইসি-কপোতাক্ষি জেভি নামে ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ শুরু করার কথা একই বছরের ১২ আগষ্ট। আর নির্মাণ কাজ শেষের মেয়াদ ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি। কার্যাদেশের দীর্ঘ এক বছরেও কাজ শুরু না হওয়ায় সড়কটিতে জনসাধারণের ভোগান্তি নিয়ে বিভিন্ন্ পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে শুরু করা হয় সড়কটির নির্মান কাজ। তবে চলছে ধীর গতিতে। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে নির্মাণ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম নিয়ে। গত সোমবার (৮ আগষ্ট) গভীর রাতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সড়কের ওপরের কালো পাথর সরিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দেয় স্থানীয় জনতা। তাঁরা দুই ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করে খবর দেয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে। পরে সেখানে পাঠানো হয় পুলিশ। প্রথমে তারা দুই ট্রাকচালককে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে ওেয়া হয়। ঝিনাইদহ এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছেন, উপরের ওই কালো পাথর সড়কের অংশ। সেগুলি সড়কেই ব্যবহার করার কথা। সরিয়ে নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। হরিণাকুন্ডু শহরের চাতাল মোড় এলাকার নৈশপ্রহরী মঈনুদ্দিন হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন রাতের বেলা ট্রাকে করে এগুলো চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এই পাথর সড়কেই থাকবে এমন বিষয় জানতে পেরে স্থানীয় জনসাধারণ রাতে পাথরভর্তি দুটি ট্রাক আটক করে। ওই এলাকার ব্যবসায়ী লিটন বলেন, এই পাথর সড়কেই বালি ও খোয়ার সাথে মিশিয়ে পরে সড়কের নির্মাণ কাজে দেওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকাদার সেটি না করে এগুলো সরিয়ে নিয়ে যায়। ফলে প্রথমেই নি¤œমানের কাজ করায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ শুরু করেন। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল আক্তার বলেন, ওই দিন রাতে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। অসৎ উদ্দেশ্যে রাতের আধারে পাথর সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই সরিয়ে নিয়ে সড়কের অন্য খারাপ জায়গায় দিচ্ছি। উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হাসান বলেন, ঘটনাটি আমি রাতেই শুনেছি। সেখানে আমি অফিসের লোক পাঠিয়েছিলাম। মঙ্গলবার সকালে আমি নিজেও সরজমিনে সড়কটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে ওপরের কালো পাথর সরিয়ে নেওয়ার সত্যতা পেয়েছি। সিডিউল অনুযায়ী এই অংশ সরিয়ে নেওয়ার কোনো বিধান নেই। এগুলো সড়কের সম্পদ সড়কেই থাকবে। প্রথমে সড়কের ওপরের অংশ খুড়ে সেখানে সমান করে তারপর রোলার দিয়ে ম্যাকাডাম করতে হবে। সবশেষে কার্পেটিং হবে। এই অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউএনও সুস্মিতা সাহা বলেন, রাতে ঘটনাটি জানার পর আমি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি ব্যবস্থা নিতে। জনগুরত্বপূর্ণ এই সড়কের নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য জানতে সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি।

ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD