April 24, 2024, 8:03 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
কেশবপুরে বিএনপি নেতা পৌর কাউন্সিলর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪ হাজার পিচ স্যালাইন বিতরণ কেশবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধ,কে কোন প্রতীক পেল তানোরে ময়নার স্মরণকালের সর্ববৃহত শোডাউন গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক সম্রাট ঝাবু গ্রেফতার পাইকগাছায় ৬ কিলোমিটার সড়ক বদলে দিয়েছে লতা ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা তীব্র তাপদাহে স্বরূপকাঠির জন জীবন অতীষ্ট বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ শয্যা সংকটে মেজেতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগিরা সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির সেই ভয়াবহ দিবসটি হাজারো মানুষের মৃত্যুর ইতিহাস হাতীবান্ধায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় বৃষ্টির আশায়  ভাবখালী আউলিয়ার বাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান এবং দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র অবৈধ
রাণীশংকৈলে নেই শিক্ষার্থী নেই চেয়ার বেঞ্চ তবুও এমপিও- গ্রামবাসির আনন্দ

রাণীশংকৈলে নেই শিক্ষার্থী নেই চেয়ার বেঞ্চ তবুও এমপিও- গ্রামবাসির আনন্দ

এস আর মানিকরাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি ঃ
সারাদেশে ৬ জুলাই মাধ্যমিক, নি¤œ মাধ্যমিক,উচ্চ মাধ্যমিক, কারিগরিও মাদ্রাসার দীর্ঘদিন পর ২হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত হয়। রাণীশংকৈলে উপজেলার এমপিওভুক্ত হয় ৭টি প্রতিষ্ঠানের। এরমধ্যে ২টি বিদ্যালয়ের চেয়ার, বেঞ্চ , শিক্ষার্থী কিছু নেই তবুও এমপিও। বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর মধ্যে কয়েকটি আধাপাকা ঘর রয়েছে তাও আবার দরজা জানালা বিহীন। শিক্ষার্থী রয়েছে কাগজে কলমে বাস্তবে শূন্যের কোটায়।
ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয় না দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। অথচ কাগজে কলমে যথারীতি পাঠদানের তথ্য নিশ্চিত করে এমপিও ভুক্তির তালিকায় নাম তুলেছে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। গত ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এমপিওভুক্তি তালিকায় রাণীশংকৈল উপজেলার ৪টি নিন্ম মাধ্যমিক ও ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই তালিকা ঘেটেঁ দেখা যায়, হোসেনগাঁও ইউনিয়নে কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলিগাঁও নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বাচোর ইউনিয়নে ভি এইচ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাতোর ইউনিয়নে প্রয়াগপুর নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া স্তর পরির্বতন হয়েছে কাশিপুর ইউনিয়নে মহারাজাহাট উচ্চ বিদ্যালয়, আলসিয়া ভোকরগাঁও ও জগদল উচ্চ বিদ্যালয়ের। এরমধ্যে নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোন ক্লাস হয় না। শিক্ষার্থী আসে না। তাছাড়া অবকাঠামোর অবস্থা হযবরল।
স্কুল এমপিও হওয়ার সুবাদে গত ২০জুলাই কলিগাঁ নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহরুল হকের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করে স্থানীয়রা। জানা গেছে, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদনের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খাতা,বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল, অবকাঠামো ঠিকঠাক দেখিয়ে আবেদন দিয়েছেন। তবে কাগজে কলমে ঠিকঠাক বলা হলেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্র এসব প্রতিষ্ঠানের।
সরেজমিনে হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কলিগাঁও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির মধ্যে কোন সাইনবোর্ড নেই,দুর থেকে দেখে বুঝা যাবে না এটি কোন বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়ে তিনটি শ্রেণী কক্ষ রয়েছে তবে সেগুলো অর্ধনির্মিত, নেই দরজা জানালা,ফ্লোর মাটিতে ভরা। শ্রেণী কক্ষে একটি চেয়ার কিংবা ব্রে নেই। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে বিগত কয়েকবছর ধরে ক্লাস হয় না। কোন শিক্ষার্থীও আসে না । ইতিমধ্যে কখনো কোন পরীক্ষায় হয়নি এ বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জমিরউদ্দীন বলেন, তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনটি ক্লাস রুম হয়েছে,শিক্ষার্থীর সংথ্যা ১৩৫ জন,শিক্ষক কমর্চারী মিলে ১১জন। এ প্রধান শিক্ষক বলেন, তার বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হতো,শিক্ষার্থী শিক্ষক সবাই বিদ্যালয়ে আসতো বর্তমানে বিদ্যালয় ছুটি তাই চেয়ার বে নেই। বিদ্যালয় খুললে আবার চেয়ার বে নিয়ে আসা হবে।
একইভাবে বাচোর ইউনিয়নের ভিএফ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় এলাকাই কোন সাইনবোর্ড নেই। অবকাঠামো বলতে তিনটি ঘর তাতে কিছু চেয়ার বে রয়েছে। তবে তা ময়লা আবর্জনায় ভরা। বিদ্যালয়ের পাশেই বাড়ী স্থানীয় কয়েকজন তরুণীর সাথে কথা হলে,তারা জানায় তারা এই বিদ্যালয়ে পড়ে না কারণ এখানে শিক্ষক,শিক্ষার্থী কেউ আসে না। ওই তিনজন তরুণী জানায় তারা বাসা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মীরডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ভিএফ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, তার বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হয়। তবে ছুটির কারণে একটু ময়লা আর্বজনা হয়েছে। আমরা সব ঠিক করে ফেলবো। বিদ্যালয়ের পাশের শিক্ষার্থীরা কেন অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশ্নে বলেন, সেটা তো তাদের ব্যাপার কেন পড়ে সেটিতো আমি বলতে পারবো না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী বলেন,শর্ত ভঙ্গ করার সুযোগ নেই। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ। বিদ্যালয়গুলো খুললেই সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এস আর মানিক
রাণীশংকৈল,ঠাকুরগাঁও

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD