December 14, 2024, 7:33 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শীতার্থদের মাঝে শিতবস্ত্র বিতরন মাদারীপুরে জেলা কিণ্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত দোহার-নবাবগঞ্জে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বিজয় দিবস ঘিরে সুজানগরে বেড়েছে জাতীয় পতাকা বিক্রি রাজশাহীতে ভুমি সেবা ব্যহত সরকার রাজস্ব বঞ্চিত তানোরে দুটি পৌরসভা ও এক ইউপিতে নাগরিক সেবা ব্যহত পাইকগাছায় তীব্র শীতে ফুটপথের গরম কাপড়ের দোকানে উপছে পড়া ভীড় পাইকগাছায় শিবসা নদী থেকে বিপুল পরিমাণ নেট জাল ও চিংড়ি পোনা জব্দ ফ্যাসিস্টের দোসরে অভিযুক্ত পটিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত মধুপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও জনসভা অনুষ্ঠিত
গোদাগাড়ীতে এক চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ।

গোদাগাড়ীতে এক চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ।

হায়দার আলী।।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী।। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নে কাজ না করেই অর্থ খরচ দেখানো অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুই ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ করার পর কাজ শুরু হলেও তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট।

জেলা প্রশাসকের কাছে করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাটিকাটা ইউনিয়নে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ দেয়। কিন্তু সেই অর্থের কোনো কাজ ইউনিয়নের কোনো এলাকায় হয়নি। চেয়ারম্যান সোহেল রানা, সচিব সাব্বির হোসেন ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ইউপি সদস্যকে নিয়ে ভুয়া প্রকল্প দাখিল করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের রেজ্যুলেশনে মাটিকাটা ইউনিয়নের আইনাপুকুর গাফ্ফারের বাড়ি থেকে উজিরের বাড়ি হয়ে বেলডাঙ্গা জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট বাবদ ৬ লাখ ৯০ হাজার, কাদিপুর ঈদগাহ মাঠে বালু মাটি ভরাট করে সংস্কার বাবদ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মাটিকাটার বিভিন্ন ক্লাব ও স্কুলে খেলার সামগ্রী বিতরণ বাবদ ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের বাথরুম নির্মাণ ও অফিস সংস্কার বাবদ ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার প্রকল্প দেখানো হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে ওই এলাকায় কোনো কাজই করা হয়নি। জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল জানান, কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ তুলে নেওয়ার ঘটনাটি তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইউপি সদস্য সেতাবুর রহমান ও মো. নুরুজ্জামান জানান, কোনো প্রকল্প গ্রহণ করার আগে সভা করার নিয়ম থাকলেও সেটি করা হয় না।

প্রকল্প কমিটি গঠন করে শুধু তাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। ইউপি সদস্যরা কোনো বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ও সচিব খারাপ আচরণ করেন। যেসব প্রকল্প দেখানো হয়েছে, তার একটিতেও কাজ করা হয়নি। তারা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করার পর শুক্রবার (২২ জুলাই) একটি রাস্তার কাজ শুরু করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু সেখানেও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইউপি সদস্য মো. নুরুজ্জামান জানান, শুক্রবার নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরুর খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এ সময় চেয়ারম্যান সোহেল রানার স্বজনরা তাকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন।

মাটিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানা জানান, কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে কাজ হচ্ছে। জেলা প্রশাসক তদন্ত করতে দিয়েছেন। তারা তদন্ত করছেন। কিন্তু দুই ইউপি সদস্য এলাকায় চেয়ারম্যান সম্পর্কে খারাপ প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্তের কাগজ পত্র হাতে আসলে তদন্ত শুরু করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD