April 23, 2024, 3:49 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
নলছিটিতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু মধুপুরে জৈব কৃষি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজে কোচিংয়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় নড়াইল জেলা পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এসপি মেহেদী হাসান তীব্র গরম ও তাপদাহে অতিষ্ঠ মধুপুরবাসী বাড়ছে নানা রোগ পাইকগাছায় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ নড়াইলে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার আসন্ন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল ইপিজেড থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা ও কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরগুনার তালতলীতে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন
পাইকগাছায় বৃষ্টির অভাবে আমন ক্ষেত ও বীজতলা ফেটে চৌচির,দুশ্চিন্তায় চাষিরা

পাইকগাছায় বৃষ্টির অভাবে আমন ক্ষেত ও বীজতলা ফেটে চৌচির,দুশ্চিন্তায় চাষিরা

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
আমন ধান রোপণের উপযুক্ত সময় শ্রাবণ মাস।বৃষ্টির দেখা নেই। আমনের ক্ষেত ফেটে চৌচির। মারা যাচ্ছে বীজতলায় ধানের চারা। প্রচণ্ড তাপদাহ বৃষ্টির জন্য হাহাকার।যে ছিটে ফোটা বৃস্টি হচ্ছে তা মাটিতে শুকিয়ে যাচ্ছে।আকাশপানে চেয়ে আছেন কৃষক।বর্ষার মৌসুমেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নিরুপায় কৃষকরা বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর-বিল থেকে পানি দিয়ে আমন ধানের চারা অনেক কষ্টে রোপণ করেছিলো। তখন ধারণা করেছিলেন বৃষ্টিপাত হবে। তবে বর্ষার ভরা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাইকগাছার কৃষকরা। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ সেচযন্ত্র চালুর মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে ধান রোপণের পরামর্শ দিয়েছে। পাইকগাছা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৭ হাজার ২৫৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা রয়েছে।এর জন্য ৯৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হবে।বৃস্টির অভাবে অনেক কৃষক এখনও বীজতলা করতে পারেনি।
বর্ষা ঋতুতে বৃষ্টির উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল থাকেন কৃষকরা।বৃস্টির অভাবে আমন আবাদ শুরু করতে পারছে না কৃষকরা। সর্বত্র আমনের বীজতলা তৈরি করার সময়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ কৃষক বীজ তলা তৈরি করতে পারেনি। বীজ তলা ফেটে এখন চৌচির। বৃষ্টির অভাবে কৃষকদের রোপণ করা আমন ধানের জমিও ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের ক্ষেত নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।উপজেলার হিতামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, আমন ধানের ক্ষেত প্রস্তুত ও রোপণ সম্পূর্ণ বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। এই ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। জমিতে পানি না থাকায় আমন ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। একদিকে পানির অভাবে জমি প্রস্তুত করা যাচ্ছে না, অন্যদিকে পানির অভাবে বীজতলা শুকিয়ে ধানের চারা মরে যাচ্ছে। গদাইপুর গ্রামের কৃষক আ:করিম জানান, অন্যান্য বছর এই দিনে জমিতে আমন ধান লাগানো প্রায় শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার অনাবৃষ্টির কারণে জমিতে পানি না থাকায় ধান রোপণ করা যাচ্ছে না।অনেকে বীজতলা করতে পারেনি। আমন চাষে বিঘ্ন ঘটলে প্রান্তিক চাষিরা লোকসানে পড়বে বলে তিনি জানান। এ অবস্থায় মহাবিপদে আছেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো:জাহাঙ্গীর আলম জানান,ঠিকমত বৃস্টি নাহওয়ার কারণে আমন ধানের বীজ তলা তৈরিও চারা রোপণে কিছুটা দেরি হচ্ছে।কৃষকদের নাবীজাতের ধানের বীজতলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।বৃস্টি হলে আমনের আবাদ স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আশা করছি আমনের আবাদ থেকে কাঙ্খিত ফসল উৎপাদনে আমরা সক্ষম হবো।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD