March 18, 2025, 2:41 pm
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের টানা দুই সপ্তাহের তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা জনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা চরম দুর্ভোগে। প্রখর রোদের ঘাম ঝরানো তাপমাত্রার কারণে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম বিপাকে। বিশেষ করে তীব্র রোদের তাপের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক, ঠেলা ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। ফলে তীব্র তাপদাহে অনেকে অলস সময়ও পার করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।
তীব্র গরমে বয়স্ক, শিশুরা পড়েছে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে। একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা সাধারণ মানুষের। বৃষ্টিহীন তীব্র গরমে আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত নেই কোনো সুখবর। গেল এক সপ্তাহ ধরে এ জেলায় তাপমাত্রা গড়ে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। তিন-চার দিন আরো তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীব-বৈচিত্র্যের ওপর। এমন প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে জেলাবাসীর। এতে করে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। একটু শীতলতার জন্য শিশু-কিশোর সবাই পুকুর-নদী-বিলে ছোটাছুটি করছে।
অসহনীয় প্রচণ্ড গরমে গ্রামাঞ্চল কিংবা শহরে শিশু, বয়স্কদের জ্বর-সর্দি- ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাপের কারণে নানা বয়সীদের দেখা দিয়েছে চর্ম রোগও। তীব্র তাপদাহে কয়েক দিন থেকে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট-বাজারে মানুষের সমাগম কিছুটা কমেছে। প্রচণ্ড গরমেই অনেকে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধও রেখেছেন।
জেলার নাগেশ্বরী সদরের ভ্যান ও রিস্কা চালক অনেকে জানান, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ঠিকমতো কাজে যেতে পারছি না। গরমে কাজ করতে না পেরে আয় কমে গেছে। আগে দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করা যেত। এখন প্রচণ্ড গরমের কারণে সারা দিনে ২০০ টাকা আয় করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সবুর মিয়া জানান, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টানা বৃষ্টিপাত না হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। কুড়িগ্রামে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে লাইফ দেয়া যেতে পারে।