March 29, 2024, 10:30 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
রাঙ্গাবালীতে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪ বেনাপোলে পাচারকারীর পায়ূপথে পাওয়া গেল ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণেরবার, পাচারকারী আটক মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ২১নং ওয়ার্ডকে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এলাকা গড়তে কাউন্সিলরের অভিযান সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকারকে বিদায় সংবর্ধনা লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্ট অভিযান নড়াইলে দুইজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার পাইকগাছায় ১ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার-১ ধামইরহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের মাঝে নগদ অর্থ ও হুইল চেয়ার বিতরণ অবশেষে সংস্কার করা হলো বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাট
ঈদে পুলিশ প্রশাসন ও র‌্যাব ব্যস্ততার ফাঁকে মাদক পাচার বাড়ছে-নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ

ঈদে পুলিশ প্রশাসন ও র‌্যাব ব্যস্ততার ফাঁকে মাদক পাচার বাড়ছে-নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ

হেলাল শেখঃ ঈদে ৭-৮দিন পুলিশ প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তায় ব্যস্ততার ফাঁকে মাদকের শক্তিশালী সিন্ডিকেটে মাধ্যমে নানারকম মাদকদ্রব্য অবাধে বিক্রি করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এসব মাদক সেবন করে নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ। ২০০ থেকে ৫০০ টাকা দিলে মাদক সেবনকারীদের দিয়ে সকল অপরাধমূলক কর্মকান্ড করাতে পারছেন অনেকেই।
শুক্রবার ( ৮ জুলাই ২০২২ইং) সূত্র জানায়, ঢাকার আশুলিয়ায় ও টাঙ্গাইলের গোপাল থানায় একাধিক মাদক মামলার আসামী মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগম (৪২) এর দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার শক্তিশালী সিন্ডিকেটের এই মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে, এরকম অনেক মাদক সন্ত্রাসীদের কাছে এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দড়িসয়া গ্রামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে হাতে নাতে গাঁজাসহ ফিরোজা বেগমকে আটকের পর দুই বছরের সাজা প্রদান করেন। গাঁজা সেবন ও নিজ হেফাজতে গাঁজা সংরক্ষণ যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের ৩৬ (১) এর ২১ ধারা লঙ্ঘন ও দ-নীয় অপরাধ। এই ধারা মতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ (দই) বৎসর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামের আলী আকবরের স্ত্রী মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে ঢাকার আশুলিয়া থানাসহ বিভিন্ন থানায় মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। এবারের গল্পটাই যেন ভিন্ন: স্বামী একজন রিক্সা চালক আর স্ত্রী বাসা বাড়িতে কাজের বোয়া থেকে এখন বিশাল প্রভাবশালী মাদক সিন্ডিকেটের পরিচালনাকারী নারী ফিরোজা বেগম। তিনি এখন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামে ইটের দালানকোঠা তৈরি করে বাড়িতে চারসাইড দিয়ে লাগিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এলাকাবাসীর দাবি-সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেখে তার বাড়িতে কারা কখন আসছে, প্রতিবেশি কেউ তার বাড়িতে প্রবেশ করলে তাকে বিভিন্ন হুমকি প্রদান করাসহ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। অনেকেরই প্রশ্ন: কি তার উপার্জন আর কি বা তার ব্যবসা? দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে উঠে আসে কে এই নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগম।
জানা গেছে, একজন দিনমজুর আলী আকবরের অপ্রতিরোধ্য স্ত্রী ফিরোজা বেগম মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করেন, এরপর এখন ক্ষমতাধরের খাতায় নাম লিখেছে মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কর্মকান্ডকে পুঁজি করে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, টাঙ্গাইলের দড়িসয়া পাড়া গ্রামের একবেলা খেয়ে আর অন্যবেলা না খেয়ে অনাহরে অর্ধাহারে থাকা সেই দিনমজুর স্বামী আলী আকববসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ফিরোজা বেগম কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোশারফ ম্যানশন নামের একটি বাড়ির কক্ষ ভাড়া নিয়ে ওই বাড়ির মালিকের বিশাল ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করে আসছে। সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তিনি এই মাদকের কারবার করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন। এলাকাবাসী জানায়, ফিরোজা বেগমের মাদকের বিশাল শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে, দেশের সীমান্ত দিয়ে আসা ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক তার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় চালান পাঠানো হয়। ২০১২ সালে সিরাজগঞ্জ, ২০১৭ সালে আশুলিয়া, ২০২১ইং সালে টাঙ্গাইলে মাদকসহ হাতে নাতে আটক হয় ফিরোজা বেগম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অনেকবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে তিনি ও তার দুই ছেলে কৌশলে বেড়িয়ে এসে ক্ষমতা ও টাকার দাপটে অবাধে চালাচ্ছে তাদের বিভিন্ন মাদকের কারবার।
এলাকাবাসী-মাদককে না বলে পৃথক ভাবে একাধিকবার মাদক বিরোধী মিছিল ও মানববন্ধনসহ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। মাদক নির্মূলের দাবিতে সামাজিক ভাবে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা। মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা বন্ধের জন্য সামাজিক প্রতিরোধে এলাকার যুবসমাজকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে দড়িসয়া গ্রামের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুস সামাদ বলেন, পূর্বের ইতিহাস তারা আগে জামগড়ায় থাইকা কাম কাজ করছে। ১৫-১৬ বছর যাবতসেখানেই থাকতো তারা। তার দুই ছেলে বিভিন্ন মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে একাধিকবার, ফিরোজা বেগমও গাঁজাসহ আটক হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দুই বছরের সাজা দেন। তিনি আরও বলেন, এই ফিরোজা বেগমের পরিবারের লোকজন সবাই এখন মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। শীতের মধ্যে মানুষ গরম পোশাক ও মুখোশ ব্যবহার করেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাদক বিক্রেতারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদকের জমজমাট কারবার করছে। কিছু মাদক সেবনকারী নির্বাচনে মিছিল মিটিং করাসহ বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে ব্যবহার করছেন প্রার্থী অনেকেই।
উক্ত বিষয়ে জানতে সরেজমিনে গিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া ও টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের দড়িসয়া গ্রামে মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমের বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনেও তার সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে গোপালপুর থানা পুলিশ ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, মোছাঃ নুর জাহান ওরফে ফিরোজা বেগমকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে র‌্যাব জানায়, ফিরোজা বেগম বড় মাদক ব্যবসায়ী, তাকে মাদকসহ আটকের চেষ্টা চলছে।
মাদক সেবনকারীরা টাকার লোভে মাঠে কাজ করছে। কেউ তাদেরকে টাকা দিলেই মাদক সেবন করতে পারছে। কোনো ভাবে টাকা না পেলে মাদক সেবনকারীরা বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে। ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভারত থেকে পিপুল পরিমাণের বিভিন্ন মাদক বাংলাদেশে আসতে পারে বলে সূত্র জানায়। উক্ত প্রতিবেদন ধারাবাহিক ভাবে চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD