শুক্রবার, ২০ মে ২০২২, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, মানুষ হয়ে মানুষকে ভালোবাসতে হয়, মানুষকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে হয়। মানুষের দোয়া’য় সুনাম অর্জনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন-র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) এর সাবেক মহাপরিচালক মো. বেনজীর আহমেদ, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি হিসেবে দায়িত্বে আছেন, তিনি বাংলাদেশ পুলিশের গর্ব ও গরীবের বন্ধু।
সুত্র জানায়, গত (২মে ২০১৯ ইং) র্যাব ফোর্সের সদরদপ্তরের সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইহ্নুরেন্স বিভাগ থেকে এবং বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর শিবলী রুবায়েত উল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ডিবিএ প্রথম ব্যাচের প্রথম শিক্ষার্থী হিসেবে (রেজি: নং ১৩/২০১৪-২০১৫) বেনজীর আহমেদ ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। বেনজীর তার গবেষণা মূলত বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োজিত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো।
বেনজীর আহমেদ তার অভিসন্দর্ভে জাতীয় অর্থনীতিতে পুলিশ শান্তিরক্ষীদের অবদান এবং শান্তিরক্ষা মিশনসমূহ প্রায় তিন দশক দায়িত্ব পালনে অনেক কিছু শিক্ষালাভ করেন। তিনি দেশের পুলিশ সংগঠনে ইতিবাচক পরিবর্তনে কী ধরনের ভুমিকা পালন করেছে সেটি তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। এর আগে বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম. এ ও এল. এল. ডব ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি এম.বি. এ ডিগ্রিও অর্জন করেন।
বেনজীর আহমেদ পেশাগত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ে এশিয়া প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্ট্যাডিজ (এপিসিএসএস), অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরার চার্লস স্টার্ট ইফনিভাসিটি এবং সিঙ্গাপুরে বিশ্বব্যাংক আ লিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপর ১৯৮৮ সালে বেনজীর আহমেদ সপ্তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগ দেন। দায়িত্বের পূর্বে বেনজীর আহমেদ প্রায় সাড়ে ৪ বছর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধিকবার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগে চিফ অব মিশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসেস হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘ সদরদপ্তরেও গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। বেনজির আহমেদ কর্মদক্ষতায় সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে। তিনি আইজিপির এক্সজাম্পলারি গুড সার্ভিস, তিনবার জাতিসংঘ শান্তি পদক প্রাপ্ত হন। এছাড়াও তিনি সরকার কর্তৃক সর্বমোট ৫বার পেশাগত সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) ভূষিত হন। বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যাব বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অনেকেই জানান, বেনজীর আহমেদ একজন ভালো মানুষ। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি হওয়ার আগে ও পরে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন। বর্তমানেও বেনজির আহমেদ কর্মদদক্ষতায় সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে আছেন।
জনাব বেনজীর আহমেদ এর বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি জনাব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছেন, পুলিশের প্রকৃত বন্ধু হলো সাংবাদিকরা। আমিও এই বিষয়ে একমত যে, সাংবাদিকের প্রকৃত বন্ধু হলো পুলিশ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও জনাব বেনজীর আহমেদকে দূর থেকে অনেক সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। বাস্তব জীবনে দুই একজন দুষ্টু প্রকৃতির পুলিশ সদস্য আছে কিন্তু পুলিশের ৯৫% সদস্য সৎ ও সাহসী। শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি জনাব বেনজীর আহমেদ ও ডিআইজি হাবিবুর রহমানকে আমার অনেক ভালো লাগে, তাই সম্মান করি। এতে কে কি করছে বা বলছে, আর কে কি ভাবছে এটা মূলত বিষয় না। আমি কি করছি এটাই ভাবনার বিষয়। প্রিয় পাঠক-যে সম্মানিত ব্যক্তি-তাঁকে সম্মান করা দরকার। কাউকে সম্মান করলে তার নিজেরও সম্মান বৃদ্ধি হয়। হাবিবুর রহমান একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা হয়েও রাস্তা-ঘাটে হাট-বাজারের মানুষ বেদে ও হিজরাদের জন্য যা সেবামূলক কাজ করেছেন তা আর কেউ করতে পারবে না। দেশে বেশিরভাগ মানবিক পুলিশ সদস্য আছেন, তাদের কাছে থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। অপরাধ করলে তাদের আটক করে সাজা দেওয়া এবং ভালো মানুষের ভালো কাজের সঙ্গী হওয়াকেই মানবতা বলে। জনাব বেনজীর আহমেদ ও জনাব হাবিবুর রহমানের সেই মানবতা আছে তাই তাদেরকে সবাই সম্মান করেন।