বুধবার, ২৫ মে ২০২২, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
মাহফুজ রহমান, পত্নীতলা(নওগাঁ)প্রতি¬নিধি: উত্তরাঞ্চরে শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ৫নং মাটিন্দর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠ এলাকায় আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। এবার ধানের বিঘাপ্রতি ফলন বেশি কিন্তু বাজারে ধানের দাম ভাল না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ। অত্র অঞ্চলে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন বেশ ভাল হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পত্নীতলা উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়নে প্রায় সব এলাকাতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এসব জমিতে জিরাশাইল, সুমনা, স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণাসহ বিভিন্ন সুগন্ধি জাতের ধান রোপন করা হয়। পত্নীতলা, নির্মইল, দিবর, আকবরপুর, মাটিন্দর, পাটিচরা, নজিপুর, আমাইর, নওগাঁর পত্নীতলা ৫নং মাটিন্দর ইউনিয়ানের সুহট্রি দরগাঁপাড়া গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দীন, আজিবাবু, দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক মোঃ সোলাইমান আলী, এ ইউনিয়নের দক্ষিনরাম গ্রামের কৃষক মোঃ হাবিবুর রহমার(হাবিব), শিবপুর মন্ডল পাড়া গ্রামের এক জন কৃষক মিজানুর রহমান জানায় আমি এবার ৩-৫ বিঘা জমির ধান বাজারের বিক্রি করলাম ৬৬০ টাকা দামে এবার ধানের দাম কম থাকায় ৭০০ টাকা দরে সেই দামও পাইলাম না । শাশইল গ্রামের মোঃ রায়হান ইসলাম সহ এ নওগাঁ পত্নীতলার ৫নং মাটিন্দর ইউনিয়নের আরো অনেকেই জানায়, জমিতে বিঘাপ্রতি ধানের ফলন হচ্ছে ২০ থেকে ২২মন পর্যন্ত। গত বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রতি বিঘা জমিতে বীজ ও ধান রোপন থেকে শুরু করে সার, নিরানী, কীটনাশক কাটা ও মাড়াই পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে শ্রমিকসহ প্রায় ৬-৮ হাজার টাকা। আর বাজারে সদ্যকাটা ধান বেচাকেনা হচ্ছে মনপ্রতি ৬৫০-৭০০শত টাকা। এবং নওগাঁ মহাদেবপুর উপজেলার গাহলী বাজারের একজন কৃষক জানান,আমাদের এখানে প্রতি বৃহস্পতিবার হাটে ধান বেচা কেনা হয়েছে আমি ধান বিত্রি করলাম এ বাজারে একটু ধানের দাম আজ একটু বেশি ৬৬০-৭৭০ টাকা পেয়ে আমি একটু আনন্দনদিত।
তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন, শ্রমিক সংকটের কারনে অনেক কৃষকই সময় মত তাদের ধান কাটতে পারছেনা। প্রতি মৌসুমে জাপাই,সোনা মসজিদ, রংপুর, দিনাজপুর,পাবনা, গাইবান্দাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষি শ্রমিক এই এলাকায় আসতো। সেই সব শ্রমিকরা এখনও এলাকায় না পৌঁছায় শ্রমিক সংকট হচ্ছে বলে কৃষকরা জানান।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে পত্নীতলা উপজেলায় ২৭ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে।