বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
লাবু খন্দকার।।
অঘোষিত টাঙ্গাইল-৮ আসনে ভুয়া মনোনয়নের বিরুদ্ধে আতাউল মাহমুদের সমর্থকদের বিক্ষোভে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায়
পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন প্রায় ত্রিশ
জন সমর্থক।
এ ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী নেপথ্যনায়ক
জেলার সেক্রেটারি জোয়াহেরের নির্দেশে
উপজেলা সেক্রেটারি শওকত শিকদার মুঠোফোনে পুলিশকে বলেন উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনায় আসা আতাউল মাহমুদের
কর্মী-সমর্থকদের হাড় ভেঙ্গে ফেলেন।সখিপুরে শামীম টাওয়ার, মুখতার
ফোয়ারা চত্বর, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসা
মাহমুদের কর্মী-সমর্থকদের উপর পুলিশ
লাঠিচার্জ করে মহিলা কর্মী, সাধারন জনতা ও তরুণদের উপর।তারা আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলার সেক্রেটারি জহের গত সোমবার বাসাইলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর কর্মী-সমর্থকরা
মনোনয়ন পাওয়ার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে
রীতিমতো ভাইরাল করে।এতে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।তার
প্রতিবাদে মঙলবার সকালে মুখতার
ফোয়ারা চত্বরে বিক্ষুব্ধ জনতার ঢল নামে।
তাদের অভিযোগ, সংঘর্ষকালীন সাংবাদিক
ছবি উঠাতে গেলে শওকত শিকদারের বাহিণী তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি।জোয়াহেরের গুজব শুনতে চাইনা।
আমরা ইঞ্জিনিয়ার আতাউল ভাইকে এমপি
চাই।
এ ব্যপারে সখিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ জানান, দু’ পক্ষের সমর্থক
দের মাঝে সংঘর্ষের আশংকায় পুলিশ
মোতায়েন ছিল।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী
আতাউল মাহমুদ জানান, কোন প্রত্যাশী
প্রার্থীই মনোনয়নপত্র হাতে না পেয়ে প্রকাশ্যে মিষ্টি বিতরণ, প্রচার চালানো দলের বিধি বর্হিভুত।এজন্য তার প্রতিবাদে
ও আমাকে চেয়ে সাধারণ জনগণ নেত্রীর
কাছে আকুতি জানাতে এসেছিলেন।পুলিশ
ভাইয়েরা সেটা না বুঝে অযথা সাধারণ
জনতা ও আমার সমর্থকদের সাথে অশোভ অাচরণ করেছেন।এটি উচিত হয়নি।
নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, মনোনয়ন পাবার
গোজবের ব্যপারে প্রতিবাদে যারা আহত
হয়েছেন। তাদের বিষয়ে ও মনোনয়নের
ব্যপারে দলের সভানেত্রীর সাথে কথা হয়েছে। স্থানীয় আ’লীগ নেতারা নেত্রীকে
আতাউল কিংবা জয়কে মনোনয়নের দাবী
জানিয়েছেন।
নেত্রী তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন, “প্রয়োজনে পুণরায় মাঠ জরিপ করা হবে।
তারপর সিদ্ধান্ত নেব।”
এসময় ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদের
নির্বাচনী ইশতেহার পত্রও নেত্রী হাতে নেন।
এদিকে, আঘাতপ্রাপ্ত কর্মী-সমর্থকরা জানান, আমরা কালাবাহিণীর পতন চাই।
সখিপুর বাঁচাতে চাই।
মনোনয়ন না পেয়েই যে তান্ডব, পরে আমরা বসবাস করব কিভাবে।
সাবেক ভিপি জোয়াহের ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে যোগাযোগকালে
তারা ব্যাপারটা এড়িয়ে যান।