টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে নির্বাচনী আলোচনায় আওয়ামী লীগ বনাম ঐক্যফ্রন্টের লড়াই নিয়ে।
কাদেরের সাথে সিংহ হয়ে লড়ে তাকে হারাতে চাইছেন আতাউল মাহমুদ ।কিন্তু ঋণখেলাপী কাদেরের প্রথম পরাজয় ডেকে
আনতে পারে বলে তৃণমূল আওয়ামী নেতাদের মন্তব্য।

লড়বে কাদেরের বিরুদ্ধে ভুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে আ’লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আওয়ামী লীগের সম্ভাবনাময় প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ।

কাদের সিদ্দিকী এক সময় আওয়ামী লীগে ছিলেন, দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। পরে আ’লীগের সাথে মতপার্থক্য ও টানাপোড়নে দল থেকে বের হয়ে যান তিনি। নিজেই গঠন করেন কৃষক শ্রমিক লীগ নামে রাজনৈতিক দল।

সম্প্রতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে জোট করে নিবার্চন করার সম্ভাবনাও ছিল তার। পরে তাও আর হয়ে ওঠেনি। সর্বশেষ তিনি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিকল্প ধারার বি. চৌধুরীকে ছাড়াই বিএনপি, গণফোরাম ও সমমনা দলগুলো নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেন। আর এই ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ায় বাসাইল-সখীপুরে বিএনপির সাথে এক হয়ে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচন করতে যাচ্ছেন এমনটাই আলোচনা এখন দুই উপজেলার সর্বত্র।তবে বিগত বাসাইল
পৌরসভার নিবার্চনে যে চিত্র ঘটেছিল তাও
কাদেরের দেয়াল সৃষ্টি করবে।

এ দিকে ঐক্যফ্রন্টের সম্ভাবনাময় প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী হওয়ায় এ আসনটিতে কে হবেন নৌকার মাঝি তা নিয়ে এখন মানুষের মধ্যে কল্পনা-জল্পনার শেষ নেই। বিএনপিকে সাথে নিয়ে নির্বাচন করা কাদের সিদ্দিকীর সাথে আ’লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে ভুল হলে এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাটি হলেও আ’লীগ প্রার্থীর জয় লাভ অনেকটা কঠিন হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

এমতাবস্থায় বাঘা সিদ্দিকী খ্যাত কাদের সিদ্দিকীর সাথে সিংহের মতো লড়ে তাকে পরাজিত করতে চাইছেন আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ। তিনি সব সময় ঘোষণা দিয়ে আসছেন যে,
এ আসনটিতে আমাকে মনোনীত করলে আমিই পারবো রেকর্ড সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে তাকে পরাজিত করতে।
একমাত্র আতাউল মাহমুদ বিগত দিনে
কাদেরের বন দখল, অসম্পন্ন বাসাইল
হাসপাতাল, অসম্পন্ন ছাব্বিশ টি ব্রিজ,
সোনার বাংলা এন্টারপ্রাইজের নামে
কাজ না করেই বিল উত্তলনের দিক
তোলে ধরেন। বাসাইল- সখিপুরে
প্রকাশ্যে ভাষন দেন তিনি।কাদের
আওয়ামী লীগের যে ক্ষতির অপচেষ্টায়
লিপ্ত তা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন
একমাত্র আতাউল মাহমুদ।
একজন পরীক্ষিত বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আতাউল মাহমুদ।
সেক্ষেত্রে আর কাউকে পাওয়া যায়নি।
তাদের ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
স্থানীয় আওয়ামী নেতা জানান, অধিকাংশ
নেতাই স্বার্থের আওয়ামী লীগ করে।
কেউ হরিণ লীগ, কেউ ভাবী লীগ,
কেউবা মনোনয়ন প্রত্যাশী লীগ।
বিগত দিনে একমাত্র আতাউল আদর্শের
হয়ে আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

ছাত্রলীগের সাবেক ত্যাগী ও মেধাবী নেতা ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আ’লীগের নির্বাচন পর্যবেক্ষক সম্বনয় উপ-কমিটির সদস্য হয়েছেন।
উন্নয়ন প্রচার, বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য বাসাইল-সখীপুরের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ও আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। সাধারণ ভোটাররা অনেকেই মনে করছেন, এই একাদশ জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে আ’লীগ থেকে তিনিই মনোনয়ন পাবেন এবং দলীয় সব নেতাকর্মী সাথে নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
কাদের সিদ্দিকীর সাথে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে একমাত্র আতাউল মাহমুদই পারবে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান।#####

লাবু খন্দকার/নতুনবাজার।।