বুধবার, ২৫ মে ২০২২, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
মহিউদ্দীন চৌধুরী,নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হতে চান মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সমাজসেবক মুহাম্মদ শামসুদ্দিন ছিদ্দিকী (এসএস মুন্না শাহ) তিনি ইতিমধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধানমন্ডী ৩২ নন্বরের নির্বাচনী কার্যালয়ে তার মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। বর্তমানে দলের নির্দেশনা মোতাবেক সাÿাতকার পর্বে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, আমি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে সৌজন্য সাÿাত করেছি।
তিনি আমাকে দোয়া করেছেন এবং বলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণতান্ত্রিক সংগঠন। এ সংগঠন মাঠ জরিপ সহ একজন প্রার্থীর সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে প্রতিকূলতার মাঝেও বিজয়ী হতে সÿম প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে থাকে। তবে তরুণদের প্রতিও দলের বিশেষ নজর রয়েছে। তিনি আমাকে তরুণ প্রার্থী হিসেবে দলের জন্য কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সহ মনোনয়ন বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। যা সব প্রার্থীকেই মেনে নিয়ে দলের মনোনীত প্রার্থীর পÿে অর্থাৎ নৌকার পÿে কাজ করতে হবে। এর ব্যতয় হলে দল থেকে চির জীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে। তাই আমি যেহেতু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সভানেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সেহেতু দলের সিদ্ধান্ত মেনেই সামনে এগিয়ে যাবো। পাশাপাশি বিগত সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন এদেশে ও আমার সংসদীয় এলাকায় করেছে তা স্বাধীনতার পরে আর কেউ করতে পারেনি। আমি এর যথাযথ প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রতিটি ভোটারের কাছে দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সাথে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ÿমতা গ্রহণের পরেই অবহেলিত ও উন্নয়ন বঞ্চিত বীর চট্টলার লাল দীঘির জনসভায় বলেছিলেন চট্টগ্রামের উন্নয়নের ভার আমার নিজের কাঁদে তুলে নিলাম। সেই থেকে চট্টগ্রামে উন্নয়নের যে মহোৎসব শুরু হয়েছে তা আজ সারা দেশে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রামে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, বহদ্দার হাট এম.এ মান্নান ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, দেওয়ান হাট ফ্লাইওভার, চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড, চট্টগ্রাম সিটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম প্রথম বাইপাস সড়ক নির্মাণ, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার, মোহরা পানি শোধনাগার, ট্রান্সমিশন পাইপলাইন ওয়াটার ব্রীজ, বাকলিয়া এক্সেস রোড, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন এবং খাল পূর্নখনন, ভাটিয়ারীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ, কর্ণফুলী ট্যানেল নির্মাণ, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রামকেন্দ্র উন্নয়ন ও অনুষ্ঠানকাল সম্প্রসারণ, প্রকল্প ও ৭ অর্থনৈতিক জোন, বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লাইন মহাসড়ক, দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রুটে ডুয়েল গেজ রেল লাইন, নির্মাণ প্রকল্প ৩ বছর মেয়াদে ১৮,০৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে চিকিৎসা সেবা, বয়স্ক ভাতা প্রদান, নাজির হাট টু দরবার সড়ক ৬টি কালভার্ট সহ রামগর সেকশ-০১, সেকশন-২ সড়ক হেয়াকো সহ যে শত শত প্রকল্প এ সরকার বা¯Íবায়ন করেছে তার ধারাবাহিকতা রÿা করতে হলে আবারো নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে সন্তানের জনক। চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজের ছাত্র এসএস মুন্না শাহ ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবু বক্কর সিদ্দিকী। তার জেটা মশায়ও ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান ছিলেন। তার দাদাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলেন। অদ্যাবধি তার মরদেহ ও শহীদ হওয়ার স্থান ও সমাধি তারা খুঁজে পাননি। এ শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে আজীবন এসএস মুন্না শাহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে যাচ্ছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সহ জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বিশ্ব খ্যাত মাদার অব হিউমিনিটি শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, এদেশের কাছে আমার ও আমার পরিবারের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমরা যে, জীবদ্দশায় স্বাধীনতা বিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার দেখে যেতে পারছি এটাই আমাদের শান্তনা।