মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
মো: আনিসুর রহমান আগুন, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী সাদুল্যাপুর উপজেলার সীমানায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংর্ঘষে, বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় ৭টি পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় স্ত্রী, পুত্র ও পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যার কারণে ওই পরিবারের স্কুল ও কলেজগামী ছেলে মেয়েরা চলতি অর্ধবাষিকী পরীৰা দিতে এমনকি শিৰা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। উভয় থানায় পৃথক মামলা হলেও পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সুপারের নিকট স্ব-শরীরে উপসি’ত হয়ে অভিযোগ করেও কোন ফল পায়নি।
মামলা এবং অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- দীর্ঘদিন থেকে সাদুল্যাপুর উপজেলার কিশামত হামিদ গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে আনছার আলীসহ তার শরীকদের সাথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রামজীবন গ্রামের আব্বাছ আলীর ছেলে আতাউর রহমান ও তার শরীকদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২০ জুন আনছার আলীর লোকজনরা জমি জবর দখল করতে গেলে উভয় পৰের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আনছার আলীর লোকজনরা হামলা চালিয়ে আতাউর রহমানের ভাই আকবর আলী, আব্দুল গফুর, নাজিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ভাতিজা নুর্বজ্জামান মিয়া বসতবাড়ি এবং হোসেন আলীর দোকানঘর ভাংচুর ও লুটতরাজ করে। ঘটনার দিন থেকে ৭টি পরিবার স্ত্রী, পুত্র ও পরিজন নিয়ে প্রতিপৰের হুমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে উভয় থানায় পৃথক মামলা হলেও পুলিশ নিরব ভুমিকা পালন করছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও মামলার বাদী আতাউর রহমান জানান- গত রোববার তিনি আরও কয়েকজন সদস্যসহ গাইবান্ধা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়ার সাথে দেখা করেন। তারা ৭টি পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার প্রায়োজনীয় ব্যবস’া নেওয়ার আশ্বাস প্রদান কররেও আজ পর্যন্ত কোন প্রকার প্রতিকার পায়নি তারা। সাদুল্যাপুর থানার মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এমরানুল কবির জানান- এ নিয়ে কয়েকটি মামলা রয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যরাও মামলার আসামি। তারা পুলিশের ভয়ে না এমনি পলাতক রয়েছে সেটি আমার জানা নাই। তবে যারা আসামি নয় বা স্কুল ও কলেজগামী ছেলে মেয়েরা রয়েছে তারা বাড়িতে অবশ্যই অবস্থান করবে।