মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ০৬:১১ অপরাহ্ন
হেলাল শেখ ঃ
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল এলাকায় বিভিন্ন হাট-বাজারে ও মার্কেটের দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার কারণে-একদিকে সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পলিথিন ড্রেনে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৭ জুলাই, শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাভার ও আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল এলাকার বাইপাইল বাজার, জিরানী, ভাদাইল বাজার, জামগড়া বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে অবাধে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু লোকজন। এ বিষয়ে প্রাইকারি ও খুচরা দোকানদার বলেন, সংশিৱষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পলিথিন বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকেরই প্রশ্নঃ সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যেখানে- সেখানে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে কেন? মানুষ বাজার খরচ করার সময় প্রায় ব্যক্তির হাতেই পলিথিন ব্যাগ দেখা যায় চোখে পড়ার মতো, এ যেন দেখার কেউ নই।
বিশেষ করে বর্তমান সরকার ও সংশিৱষ্ট কর্র্মকর্র্তাগণ সোনালী দিন ফেরাতে পাটের তৈরি ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করার জন্য সকলকে জানিয়েছেন, কিন’ কথিপয় লোক সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ও নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি করে আসছে। বিশেষ করে সারা বিশ্বে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও তা বাংলাদেশে সকলের অবহেলা ও সচেতনতার অভাবে সোনালী আঁশ পাট প্রায় বিলুুপ্তির পথে এখন।
বিশেষ করে লেখক, কলামিস্ট, পরিবেশববাদী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বলেন, মাদক যেমনঃ যুবসমাজকে নষ্ট করছে, তেমনি পলিথিন ও পৱাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে আনছে। অনেকেই জানান, যে জমিতে পলিথিন ও পৱাস্টিক দ্রব্য ফেলা হয়-সেই জমিতে ফসল হয় না।
এ বিষয়ে ঢকা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা জনাব মেহেদী হাসান বলেন, পলিথিন বা প্লাসষ্টিক ব্যবহার করার কারণে রাস্তা ও ড্রেন নষ্ট করে পরিবেশ দূুষণ করছে যারা তাদের বির্বদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।