বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক।।। স্টেফিনিয়া উইলকিসনকে মনে পড়ছে৷ ভার্জিনিয়ার রেড হেন রেস্তোরাঁর মালিক, যিনি হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা সেনডার্সকে রেস্তোরাঁ থেকে বার করে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন৷ অবশেষে খেসারত দিতেই হল, ঘটনার সাত দিনের মাথায় ভার্জিনিয়ার ব্যবসায়ী গোষ্ঠী থেকে পদত্যাগ করলেন স্টেফিনিয়া৷
ভার্জিনিয়া বিজনেস গিল্ডের প্রেসিডেন্ট এলিজাবেথ ব্রানার জানাচ্ছেন, রেস্তোরাঁর মালিক হয়ে যে ব্যবহার স্টেফিনিয়া করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না৷ রেস্তোরাঁর মালিক স্টেফিনিয়া, সে বিষয়ে বিজনেস গিল্ড কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷ কিন্তু, গিল্ডে স্টেফিনিয়া থাকবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত গিল্ডই নেবে৷ সব মিলিয়ে ঘটনার সাতদিনের মাথায় চাপে পড়েই পদত্যাগ করলেন স্টেফিনিয়া৷
গত মঙ্গলবার ভার্জিনিয়ার রেড হন রেস্তোরাঁয় স্ব-পরিবারে আসেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা সেনডার্স৷ অভিযোগ, সারা ও তাঁর পরিবারকে মাত্র ২ মিনিট সময় দেন রেস্তোরাঁর মালিক স্টেফিনিয়া৷ তার মধ্যেই তাঁকে রেস্তোরাঁ ছাড়তে বলা হয়৷ মার্কিন সরকার অমানবিক৷ তাই রেস্তোরাঁয় বসতে পারবেন না সারা ও তাঁর বন্ধুরা৷ সরাসরি এই কারণ দেখিয়েই সারা সেনডার্স ও তার পারিবারিক বন্ধুদের রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন রেস্তরাঁ মালিক ও সেফ স্টেফিনিয়া উইলকিসন৷
গোটা ঘটনায় একেবারেই মেজাজ হারাননি সারা সেনডার্স৷ ট্যুইটে তিনি জানান, ‘ট্রাম্প সরকারের প্রতিনিধি হওয়ায় রেস্তোরাঁ থেকে উঠে যেতে বলেছেন রেস্তোরাঁ মালিক৷ আমি হেসেই উঠে যাই৷’ সারার ট্যুইটের পর ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে বিষয়টি আলোচিত হয়৷ রেস্তোরাঁয় থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সবমিলিয়ে সারা ও তাঁর বন্ধুদের মোট ২ মিনিট সময় দেন স্টেফিনিয়া৷
২ মিনিটের মধ্যেই রেস্তোরাঁ ছাড়েন সারা৷ ভার্জিনিয়ার বিলাসবহুল রেড হেন রেস্টুরেন্টের মালিক স্টেফিনিয়া উইলকিসন৷ নিজের কৃত কার্যে সেদিন কোনও গ্লানি ছিল না তাঁর৷ জানিয়েছিলেন,‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর সরকার আমেরিকাকে কলুষিত করেছেন৷ আমি ওনার বা ওনার প্রতিনিধিদের ভক্ত নই৷ আমি স্বাধীনভাবে হোটেল ব্যবসা করি,যে এলাকায় আমার রেস্তোরাঁ সেখানকার কেউ ট্রাম্পকে ভোট দেননি৷ তাই সারাকে রেস্তোরাঁ থেকে উঠতে বলি৷’
স্টেফিনিয়ার মতে, আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় সমকামী, রূপান্তরকামীদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না৷ রেস্তোরাঁয় বসে ট্রাম্পের শিশু উদ্বাস্তু নীতির সমর্থন করছিলেন সারা৷ তা সহ্য করতে না পেরে সারাকে চলে যেতে বলে স্টেফিনিয়া৷ তিনি সারাকে জানান, ‘আমার রেস্তরাঁর নিজস্ব নীতি রয়েছে, এখানে সৎ,মানবিক মানুষরা আসতে পারবেন৷ অমানবিকরা নন৷’ অবশ্য, সেদিন নিজের দেশের প্রশাসনিক প্রতিনিধির এই দশা নিয়ে মুখ খোলেননি ট্রাম্প৷ ঘটনার এক সপ্তাহ পর বুধবার কাজে করে দেখালেন৷ ভার্জিনিয়ার বিজনেস গিল্ড থেকে বিদায় নিতে হল স্টেফিনিয়াকে৷ পাশপাশি রেড হন রেস্তোরাঁর জন্য ট্রাম্পের ট্যুইট, ‘ রেড হন রেস্তোরাঁর উপর আমার নজর রয়েছে৷ এই রেস্তোরাঁটি অপরিচ্ছন্ন৷ গোটা রেস্তোরাঁটি অসাংগঠনিক, এমনকি রেস্তোরাঁয় খেতে আসা অতিথিদের সঙ্গেও বাজে ব্যবহার করা হয়৷ আমার প্রতিনিধি সারা ভুক্তভোগী।