মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
রফিকুল ইসলাম সুমন (সেনবাগ)
নোয়াখালীর সেনবাগে কাবিলপুর গ্রামের সুফি সাহেব মাজার সংলগ্ন ৩৩ হাজার বিদ্যুতের সঞ্চালন টাওয়ারের উপরে ওঠে নাছির (৩২)নামে এক যুবক ঝুলতে থাকে। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে শতাধিক স্থানীয় জনগন। এ সময় স্হানীয় শাহাদাত নামের এক যুবক টাওয়ারে ওঠে নাছির কে নামাতে চেষ্টা করলে নাছিরের আঘাতে সে গুরুত্বর আহত হয়। শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চলে এ তান্ডবলীলা। পরে চৌমুহনী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সহায়তায় নাছিরকে নামিয়ে আনার পর স্বস্তি ফিরে আসে সবার । তার পুরো শরীরের শতাধিক স্হানে ব্লেডের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গুরুত্বর আহত দুজনকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। উল্লেখ্য, নাছির ইয়ারপুর গ্রামের বদু মিয়া বাড়ীর সিরাজের পুত্র। অপর আহত শাহাদাত কাবিলপুর গ্রামের মো: মোস্তফার পুত্র।
হাসপাতালে নাছির গনমাধ্যমকে জানান, তার সাথে জ্বীনের আছর রয়েছে। জ্বীন তাকে প্রায়শই বিদ্যুতের ৩৩ হাজার সঞ্চালন টাওয়ারে ওঠিয়ে ব্লেড দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্হানে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সময় সে বাঁচার আকুতি জানিয়ে ব্যর্থ হয়। সে আর ও জানায়, ৩ মাস আগে চট্রগ্রামে বিয়ে করে। বিয়ের এক মাসের মধ্যে নাছিরের পুরো শরীরে ব্লেডের কাটা দাগ ও জ্বীনের তান্ডবে স্ত্রী হাসিনা তার সংসার ত্যাগ করে। এর আগে ও নাছির কে জ্বীন দ্বারা ঢাকা,চট্রগ্রাম এবং রাজশাহীতে বিদ্যুতের টাওয়ারে ওঠার কারনে ৪ বছর জেল খাটতে হয়েছে। জ্বীনের এমন তান্ডব থেকে নাছির বাঁচতে চায়। হাসপাতালের বেডে তার পুরো শরীরে শতাধিক ব্লেডের কাটা দাগ দেখে ভয়ে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই।
দুপুরে সেনবাগ থানার এস আই বেলায়েত হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাছিরের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।