বুধবার, ১৮ মে ২০২২, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহী-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একশ্রেণীর নেতা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন করে এলাকা থেকে উধাও বলে গুঞ্জন বইছে। এদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল ফিতর-এর আগে নেতাদের এমন এলাকা ছাড়া নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়। আবার কেউ কেউ বলছে, মনোনয়ন বঞ্চিত, এক”ছত্র আধিপত্য ও নেতৃত্বের অবসান, তৃণমূলে জনপ্রিয়তা হ্রাস, আগামি দিনে কি হয় না হয় ইত্যাদি কারণে চরম হতাশা থেকেই তারা কর্মী-সমর্থকদের ঈদ পরবী (সেলামী) দিয়ে বেকার টাকা-পয়সা নস্ট হবে এমন আশা থেকেই এলাকাছাড়া। অধিকাংশ নেতার মুঠোফোন বন্ধ আবার যাদের খোলা রয়েছে তারা কারো কোনো কল গ্রহণ করছে না এতে কর্মী-সমর্থকদের চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আর দীর্ঘদিন পরে ঈদের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন নেতা শূণ্যতার ঘটনায় সাধারণের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে।
অখচ রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন অব¯’ার মধ্যে কেবল এক জন রাজনৈতিক নেতাই ব্যতিক্রম রয়েছেন তিনি হলেন তিন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি পরিবারের সন্তান ও জনপ্রতিনিধি, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র ও রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের (সাম্ভব্য প্রার্থী) মনোনয়ন প্রত্যাশী গণমানুষের নেতা গোলাম রাব্বানী। গত মঙ্গলবার থেকেই তিনি নিজ বাড়িতে জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শত শত মানুষের সঙ্গে ঈদের আগাম শুভে”ছা বিনিময় ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদ পরবি (সেলামি) বিতরণ করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অথচ সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনি কি দিতে পারছেন বা পারছেন না, আবারও তারাও কি পেলো কি পেলো না সেটি বিবেচ্য নয় প্রতিটি মানুষ তার বাড়ি থেকে হাসিভরা মূখে ফিরে আসছে। আবার গোলাম রাবźানির ঢাকা বা রাজশাহী শহরে অবস্থান করার মতো স্থান সামর্ধ্য থাকলেও তিনি তো বটেই তার পরিবারের কেউ (জনপ্রতিনিধি) কখানোই নির্বাচনী এলাকার বাইরে ঈদ উদযাপন করেননি যেটা একজন কর্মী-জনবান্ধব নেতার সব থেকে বড় উদাহারণ। আর গোলাম রাব্বানীকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনার ঝড় উঠেছে। কেনো গোলাম রাব্বানী তৃলমূল ও গণমানুষের নেতা বলা হয় সেটা তিনি আবারো প্রমাণ করেছেন। অন্যরা যখন এলাকাছাড়া তখনও রাব্বানী বীরদর্পে প্রতিটি এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভে”ছা বিনিময় করে চলেছেন। এদিকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এসব নেতার পক্ষে দায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে গোলাম রাবźানি বলেন, নেতার কাছে দলের কর্মী-সর্মথকগণ কিছু তো আশা করতেই পারে, কিছু দিতে পারা না পারা সেটা বিবেচ্য নয় তাই বলে এলাকাছাড়া হওয়া কোনো রাজনৈতিক নেতার শুভবুদ্ধির পরিচয় বহন করে না। তিনি বলেন, আজ যারা তৃণমূল নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ভয়ে এলাছাড়া তারা কি-? আগামি দিতে এসব নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মূখোমূখি হবে না-? ঘলে তখন তারা কি-? বলবেন।
তানোর প্রতিনিধি